উখিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ১
Published: 2nd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের শফির বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র, ক্রিস্টাল ম্যাথ, গাঁজা ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে নৌবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের শফির বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে উখিয়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আর জানানো হয়, অভিযানের সময় মাদক কারবারি ইমাম হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভয়াবহ মাদক ক্রিস্টাল ম্যাথ, গাঁজা, সাতটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। আটক হওয়া ইমাম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। অভিযানের পর মাদক, অস্ত্রসহ তাঁকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মাদক ও অপরাধ দমনে নৌবাহিনী দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।