জানেন কি, এই পাঁচ হিন্দি ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা কে-ড্রামা থেকে অনুপ্রাণিত
Published: 3rd, April 2025 GMT
কোরিয়ান ড্রামা বা কে-ড্রামা সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার আকর্ষণীয় কাহিনি ও চরিত্রের কারণে। কে-ড্রামা ওটিটি মাধ্যমের কারণেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভারতেও কম জনপ্রিয় নয়। ওটিটিতে জনপ্রিয়তা পাওয়া ভারতীয় পাঁচটি ওয়েব সিরিজ ও সিনেমার কথা চলুন জেনে নিই, যেগুলো কোরিয়ান ড্রামা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
‘গেয়ারাহ গেয়ারাহ’
জিফাইভে ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ফ্যান্টাসি থ্রিলার সিরিজটি কোরিয়ান শো ‘সিগন্যাল’-এর রিমেক। এতে আকাশ দীক্ষিত, ধাইরা কারওয়া, রাঘব জুয়েল, কৃতিকা কর্মা প্রমুখ অভিনয় করেছেন। এটি একটি গোয়েন্দা থ্রিলার, যেখানে রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানেরও সাহায্য নেওয়া হয়। এটি পরিচালনা করেছেন উমেশ বিস্ট।
‘দুরঙ্গা’
জনপ্রিয় কোরিয়ান ড্রামা ‘ফ্লাওয়ার অব এভিল’-এর ভারতীয় সংস্করণ ‘দুরঙ্গা’। প্রদীপ সরকার ও আইজাজ খান পরিচালিত সিরিজটির প্রথম সিজন ২০২২ সালে ১৯ আগস্ট জিফাইভে মুক্তি পায়। গুলশান দেবাইয়া ও দ্রাষ্টি ধামি এতে অভিনয় করেন। প্রথম সিজন মুক্তির পর জনপ্রিয়তার কারণে দ্বিতীয় সিজনও নির্মাণ করা হয় এবং একই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি দেওয়া হয়।
‘আ লিগ্যাল অ্যাফেয়ার’
জি চ্যাং-উক ও নাম জি-হিউন অভিনীত দর্শকপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ ‘সাসপিসিয়াস পার্টনার’-এর অফিশিয়াল সংস্করণ ‘আ লিগ্যাল অ্যাফেয়ার’। জিও সিনেমায় প্রচারিত হিন্দি সিরিজটিতে অঙ্গদ বেদির বিপরীতে অভিনয় করেছেন বারখা সিং।
‘ধামাকা’
হিন্দি থ্রিলার সিনেমা ‘ধামাকা’র লেখক ও পরিচালক রাম মাধবানি। ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে কার্তিক আরিয়ান একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মুম্বাইয়ের একজন সন্ত্রাসীর বিশেষ সাক্ষাৎকার নেওয়ার কারণে যেখানে আরিয়ানকে হুমকির মুখে পড়তে হয়। ‘ধামাকা’ ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান সিনেমা ‘দ্য টেরর লাইভ’-এর অফিশিয়াল সংস্করণ।
‘ব্লাইন্ড’
২০২৩ সালে জিও সিনেমায় মুক্তি পাওয়া ‘ব্লাইন্ড’-এর পরিচালক সোম মাখিজা। প্রযোজক হিসেবে ছিলেন সুজয় ঘোষ। ক্রিমিনাল থ্রিলার সিনেমাটিতে সোনম কাপুর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছাড়া পূরব কোহলি, বিনয় পাঠক, লিলেত দুবে প্রমুখ আছেন সিনেমাটিতে। একই নামে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান সিনেমার রিমেক ‘ব্লাইন্ড’। এতে সোনম কাপুর একজন অন্ধ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন, যিনি একজন সিরিয়াল কিলারকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পান।সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে হামলা, নির্দেশদাতা এখনো পলাতক
চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বান্দরবান থেকে কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)–কে গ্রেপ্তার করে ডিবি (পশ্চিম)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, এক ব্যক্তির নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এ হামলা চালান। সেই নির্দেশদাতা এখনো পলাতক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাকে ভয় দেখানোই ছিল হামলার লক্ষ্য। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৪ ডিসেম্বর সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুল আরেফিন ভাড়ায় নেওয়া প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির কাচে কোপ দেন। গাড়ির কাচ ভাঙার পাশাপাশি হামলাকারীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। তবে দুই কর্মকর্তা দ্রুত গাড়ি সরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম, রাজস্ব জালিয়াতি ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত চক্র হামলা চালাতে পারে। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের নিষিদ্ধ পপি বীজ ও ঘন চিনি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেট এবং মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে দুজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। প্রসাধনী জব্দের পর মো. আসাদুজ্জামানকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়।
হামলার নির্দেশদাতার পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তবে হামলায় ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধ পপি বীজ, ঘন চিনি ও মিথ্যা ঘোষণায় আসা প্রসাধনী জব্দের কারণে একটি সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ। গত দুই মাসে এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি আসছে।
আরও পড়ুনগাড়ি থামিয়ে কাচে চাপাতির কোপ, একজন বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’০৪ ডিসেম্বর ২০২৫