বিমসটেকের নৈশভোজে ড. ইউনূস, পাশেই নরেন্দ্র মোদি
Published: 3rd, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার পাশের চেয়ারে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্যাংককের একটি অভিজাত হোটেলে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ নেতারা একত্রিত হন।
বিমসটেক নৈশভোজে এক টেবিলে আলাপচারিতায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড.
এই নৈশভোজে একটি টেবিলে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম খলিলুর রহমান ও অজিত দোভালের ছবি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, তারা পরস্পরের সঙ্গে ভাবনা ভাগাভাগি করছেন।
নৈশভোজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রর সঙ্গে স্মৃতিতে রাখতে একটি ছবি তোলেন।
নৈশভোজে ছবি তোলেন অধ্যাপক ইউনূস মুহাম্মদ ইউনূস ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: থাইল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা এই সম্মেলনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
এই সম্মেলনের শেষে বিমসটেকের চেয়ার হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
থাইল্যান্ডের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
থাইল্যান্ডের সামাজিক উন্নয়ন ও মানব নিরাপত্তা মন্ত্রী বরাভুত সিল্পা-আর্চা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত মন্ত্রী জিরাপর্ণ সিন্ধুপ্রাই বৃহস্পতিবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক ইয়ং জেনারেশন ফোরামে বক্তব্য দেন।
বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ২ এপ্রিল ব্যাংক ব্যাংকক পৌঁছান।
২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিমসটেক সম্মেলন শেষ হবে ৪ এপ্রিল।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব মসট ক মন ত র ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।