আদালতের হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন
Published: 4th, April 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওল শেষমেশ ক্ষমতাচ্যুতই হলেন। ইতিপূর্বে তাঁকে অভিশংসিত করে পার্লামেন্টের নেওয়া পদক্ষেপকে দেশটির সাংবিধানিক আদালত আজ শুক্রবার দেওয়া রায়ে বহাল রাখেন।
গত বছর প্রেসিডেন্ট ইউন স্বল্প সময়ের জন্য দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিদ্রোহ করেছেন, এমন অভিযোগ আনেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। এছাড়া, তাঁর এমন পদক্ষেপে বিক্ষোভ শুরু হলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পতিত হয় দেশটি।
বিক্ষোভের জেরে একপর্যায়ে পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করে। এখন আদালতের এ রায়ের ফলে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট দোষী সাব্যস্ত হলেন।
নম্বর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওলকে অভিশংসিত করা নিয়ে সাংবিধানিক আদালতের রায়কে সামনে রেখে প্রেসিডেনশিয়াল বাসভবনের সামনে সমবেত বিক্ষোভকারীদের কারও কারও হাতে তাঁর ছবি সংবলিত পতাকা শোভা পায়। সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া, ৪ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প র স ড ন ট ইউন
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত