কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শকের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকো ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বরাতে জানিয়েছিল এ তথ্য।

তবে এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স জানান, বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরামর্শক ও বন্ধু হিসেবে থাকবেন।

ভ্যান্স এই বিষয়ে বলেন, ডোজে (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি) প্রকল্পের জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে এবং ইলন মাস্কের সরকারি পদত্যাগের পরও এই কাজ চলতে থাকবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইলন আমার এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরামর্শক হিসেবে থাকবে।

হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডোজে) প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংস্থাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইলন মাস্ককে। মার্কিন সরকারের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে কাজ করছিল প্রতিষ্ঠানটি। ডোজের পরামর্শেই হাজার হাজার মানুষের চাকরিচ্যুতি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তহবিল স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ইলন ম স ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ