মাস্কের পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন ভ্যান্স
Published: 4th, April 2025 GMT
কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শকের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকো ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বরাতে জানিয়েছিল এ তথ্য।
তবে এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স জানান, বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরামর্শক ও বন্ধু হিসেবে থাকবেন।
ভ্যান্স এই বিষয়ে বলেন, ডোজে (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি) প্রকল্পের জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে এবং ইলন মাস্কের সরকারি পদত্যাগের পরও এই কাজ চলতে থাকবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইলন আমার এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরামর্শক হিসেবে থাকবে।
হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডোজে) প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংস্থাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইলন মাস্ককে। মার্কিন সরকারের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে কাজ করছিল প্রতিষ্ঠানটি। ডোজের পরামর্শেই হাজার হাজার মানুষের চাকরিচ্যুতি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তহবিল স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ইলন ম স ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।