আসমা, নাজমা আর ফাতেমা ছিলেন পিঠাপিঠি তিন বোন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের চকবাজারের কাছে ঘাসিয়াপাড়ায় এক বাড়ির পাশে মসজিদ–সংলগ্ন একই কবরে দাফন হয়েছিল তিন বোনের। সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় একসঙ্গে নিহত হয়েছিলেন আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে থাকা ১৬ জন। আহত হয়েছিলেন অনেকেই।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই তিন বোনের স্মৃতি নিয়ে গত ২৬ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছিল ‘ত্রিবেণী’ শিরোনামে প্রদর্শনী। গত বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীটি শেষ হয়।

প্রদর্শনীতে দেয়ালে ঝোলানো তিন বোনের পোশাক। হাতে আঁকা মুখাবয়ব। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পাঁচ দশকের বেশি সময় পরও এতটুকু ম্লান হয়নি পরিবারের কাছে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ছিলো এই আয়োজন।

সমাপনী দিনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শহীদদের ছোট ভাই আবদুর রহমান বাবলু তাঁর বোনদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি নিজেও সেদিন মৃত্যুর হাত থকে কোনো রকম ফিরে আসেন। তাঁর শরীরে এখনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শহীদ তিন বোনের বড় ভাই বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের (পিএইচএফবিডি) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৫৪ বছর ধরে আমাদের পরিবার তাঁদের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছে। তাদের স্মৃতি হিসেবে আমাদের কাছে আছে তাদের সাদা কালো ছবি, কিছু পরিধেয় পোশাক।’

সমাপনী দিনে আরও উপস্থিত ছিলেন মেজর (অব.

) আবুল কাশেম। কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রদর্শনীর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুনহামলায় পিঠাপিঠি তিন বোন একসঙ্গে নিহত, এক কবরে দাফন ২৭ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনতিন শহীদ বোনের স্মৃতি নিয়ে শুরু শিল্প প্রদর্শনী২৬ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন