সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মেজ ভাই নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বড় ভাই।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মোশাররফ হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ছোট ভাই আশরাফ হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির পাশের সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র ছোট ভাই সোহরাব ও আশরাফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় মেজ ভাইয়ের। একপর্যায়ে আশরাফ ধারালো ছুরি দিয়ে মেজ ভাই মোশাররফ হোসেনকে আঘাত করেন।
আরো পড়ুন:
স্বামীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে হত্যা, স্ত্রী আটক
ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ইউপি সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এসময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে বড় ভাই হোসেন আলীকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেজ ভাই মোশাররফ হোসেন মারা যান।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, ‘‘মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত আশরাফ হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আশর ফ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।