আমাদের পরিচিত গ্রহগুলোর তাপমাত্রা কত
Published: 5th, April 2025 GMT
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে দিন ও রাতে বেশ গরম অনুভূত হলেও সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রার এমন বৈচিত্র্য শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে দেখা যায়। আর তাই কোনো দেশে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দেশগুলো বরফে ঢাকা থাকে। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ ও চাঁদের তাপমাত্রায়ও এ ধরনের বৈচিত্র্য দেখা যায়।
বুধ গ্রহের দিনের তাপমাত্রা ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র গ্রহের গড় তাপমাত্রা ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল খুবই ঘন, তাই তাপমাত্রা এত বেশি। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও আমাদের চাঁদের দিনের তাপমাত্রা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চাঁদের তাপমাত্রা দিন ও রাতের মধ্যে খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনপৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে রহস্যময় এক গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা২৫ মার্চ ২০২৫অন্যদিকে লাল গ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গলের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে শুষ্ক বরফ ও জলীয় বরফের স্তর রয়েছে। বিশাল বৃহস্পতি গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরেক বড় গ্রহ শনির গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইউরেনাসের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নেপচুনের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুনঅন্য সব গ্রহে নতুন বছরের হিসাব কেমন৩১ ডিসেম্বর ২০২৪পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেক বেশি সহনীয়। বুধ ও শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা অনেক বেশি বলে সেখানে জীবনধারণের সুযোগ নেই। অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা অনেক কম। তবে সেখানে বরফ থাকার প্রমাণ মেলায় ভবিষ্যতে জীবনধারণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। অন্যদিকে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন কিছুটা গ্যাসীয় গ্রহ। এসব গ্রহে তাপমাত্রা অনেক কম বলে জীবনধারণের জন্য অনুপযুক্ত।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌরজগতের নতুন বামন গ্রহ নিয়ে এত আলোচনা কেন
আমাদের সৌরজগতের অচেনা ও অন্ধকার প্রান্তে ‘প্ল্যানেট নাইন’ নামের বিশাল ও রহস্যময় গ্রহ লুকিয়ে আছে বলে মনে করেন অনেক বিজ্ঞানী। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে কল্পিত এই প্ল্যানেট নাইন গ্রহের সন্ধান করছেন তাঁরা। গ্রহটির সন্ধান পাওয়া না গেলেও সৌরজগতের অচেনা ও অন্ধকার প্রান্তে একটি নতুন বামন গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই বামন গ্রহের অস্তিত্ব প্ল্যানেট নাইন তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আর তাই বামন গ্রহটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নেপচুনের অপর পাশে বরফের পাথরের অদ্ভুত, গুচ্ছবদ্ধ কক্ষপথ ইঙ্গিত দেয় সেখানে বড় কিছু আছে। এই বড় কিছুর মধ্যে প্ল্যানেট নাইনও থাকতে পারে। সেই এলাকাতেই ‘২০১৭ ওএফ২০১’ নামের বামন গ্রহের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই গ্রহটি প্রায় ২৫ হাজার বছরে নিজ কক্ষপথে আবর্তন করায় পৃথিবী থেকে খুব কম সময়ের জন্য পর্যবেক্ষণ করা যায়।
নতুন বামন গ্রহটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির বিজ্ঞানী সিহাও চেং বলেন, এই বামন গ্রহ প্লুটোর চেয়ে তিন গুণ ছোট হলেও বামন গ্রহ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট বড়। গ্রহটির দীর্ঘ কক্ষপথ রয়েছে। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ১ হাজার ৬০০ গুণের বেশি দূরত্বে অবস্থান করছে গ্রহটি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়। সৌরজগতে সব মিলিয়ে আরও চারটি বামন গ্রহ রয়েছে। নতুন বামন গ্রহটি এই তালিকায় শিগগিরই যুক্ত করা হবে। জেমস ওয়েব, হাবল ও আলমা টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহটির অবস্থান শনাক্ত করা বিজ্ঞানী স্যাম ডিন বলেন, বামন বস্তুটি সৌরজগতের আকর্ষণীয় আবিষ্কারের মধ্যে একটি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া