ফিল্ম না থাকায় দেড় মাস ধরে বন্ধ এক্স-রে সেবা
Published: 7th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে দেড় মাস ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে গিয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে হাসপাতালের রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে কক্ষের দরজায় তালা ঝুলছে। দরজায় ঝোলানো একটি নোটিশে লেখা হয়েছে—‘এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় আপাতত এক্স-রে করানো সম্ভব হইতেছে না’।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে গিয়ে কথা হয় এক রোগীর স্বজন ও সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা ফারুকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে না হওয়ায় রোগীকে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে। এতে টাকা যেমন বেশি খরচ হয়েছে, তেমনি পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। অর্থোপেডিক বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকারা বলেন, বিভাগটির বেশির ভাগ রোগীরই এক্স-রে প্রয়োজন হয়। হাসপাতাল থেকে বাইরে রোগী নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করানো খুবই ভোগান্তির।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে এক্স-রে ফিল্ম শেষ হয়ে যায়। সিভিল সার্জন অন্য স্থানে বদলি হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে এক্স-রে ফিল্ম কেনা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী হাসপাতালের এক্স-রে সেবা নেন। বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ডিজিটাল এক্স-রে করতে রোগীদের খরচ হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। তবে সরকারি হাসপাতালে এর খরচ পড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকা। তা ছাড়া সদর হাসপাতালে উন্নত মানের ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে ১০০ বা ২০০ এমএ মেশিনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল প্রথম আলোকে বলেন, ফিল্ম না থাকার কারণে আপাতত এক্স-রে সেবা বন্ধ আছে। সিভিল সার্জন বদলি হয়ে যাওয়ার ফিল্ম কেনা সম্ভব হয়নি। নতুন সিভিল সার্জন যোগদান করেছেন। ফিল্ম কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ফিল্ম পাওয়া যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক স র
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//