মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে মাহামুদা বেগম (৩১) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন মিয়া বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, স্ত্রীকে হত্যা করে সন্তানসহ পালিয়েছেন স্বামী। 

নিহত মাহামুদা বেগম মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মহিশমারি গ্রামের মো.

রুবেল লস্করের স্ত্রী বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, ৩ এপ্রিল রুবেল লস্কর বালিগাঁও বাজার সংলগ্ন মুরগিপট্টির পেছনে ছানাউল্লাহ মিয়ার বাড়ি ভাড়া নেন। দুই সন্তান ও স্ত্রী মাহমুদাকে নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন তিনি। রোববার সকালে কাউকে কিছু না বলে রুবেল তার সন্তানদের নিয়ে চলে যান। এ সময় ঘরের দরজা আটকানো ছিল।

স্থানীয়রা জানান, দিনভর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বাড়িওয়ালা রুবেলের ঘরের দরজা খোলেন। এ সময় রুবেলের স্ত্রী মাহামুদা বেগমকে ঘরের চৌকির ওপরে ওড়না দিয়ে মুখ আটকানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টা তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছেন। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ