দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বল্প পরিসরে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৯০টি শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সকাল ১১টায় উল্লেখযোগ্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই রোগী ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা.

রিজওয়ানুর রহমান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ১৮৫ রোগীর মৃত্যু

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে আসা আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, “গত শুক্রবার আমি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। এরপর আমাকে এখানে পাঠানো হয়। এখানে চিকিৎসা ভালো পাবো বলে মনে হচ্ছে। ওষুধ ও খাবার বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।” 

উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল কবীর বলেন, “স্বল্প পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৪৫টি করে মোট ৯০ শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু হলো। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি চালু করতে পারব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান বলেন, “একটা বড় কাজ শুরু হলো। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি অন্তত শুরু হলো। ধীরে ধীরে হাসপাতালটিকে পূর্ণাঙ্গরূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। রোগীদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত শান্ত (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

শনিবার (১৩‌ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জামালপুর সীমান্ত পিলার ১৫২/৭ এস মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের নিউ উদয় ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ হস্তান্তর করেন।

শান্ত উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে শান্ত ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে জামালপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রায় ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের নিউ উদয় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে যান সঙ্গে থাকা সদস্যরা। আহতাবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে শনিবার বিকেলে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের পক্ষ থেকে শান্তর লাশ হস্তান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ