ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত
Published: 8th, April 2025 GMT
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মনসুর মারা গেছেন। গাজার নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের অস্থায়ী তাবুতে গতকাল হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তাবুতে আগুন ধরে গেলে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন।
এ ঘটনায় আরও দুজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হেলমি আল–ফাকাবি ও ইউসুফ আল–খাজানদার।
আল–ফাকাবি প্যালেস্টাইন টুডে টিভির সাংবাদিক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। গতকাল সোমবার ভোরে এ হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুনগাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পশ্চিম তীরে ধর্মঘট৫ ঘণ্টা আগেএদিকে ফিলিস্তিনের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গতকাল দিনভর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে অন্তত ৬০ জনকে হত্যা করেছে। দের আল–বালাহ এলাকার একটি বাড়িতে হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
অপরদিকে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে বোমা হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনআবারও বাসিন্দাদের সরিয়ে গাজা খালি করার কথা বললেন ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগে২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজার ৬৯৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আর পোলিও টিকার অভাবে গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি