উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমন কিছুকে সমর্থন করে না বাংলাদেশ-ভারত
Published: 8th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কিছুকে সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, চীন ও থাইল্যান্ড সফর প্রত্যাশা অনুযায়ী সফল হয়েছে। ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সফল বৈঠক হয়েছে। উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমন কিছুকে সমর্থন করে না দুই দেশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মো.
উপদেষ্টা বলেন, অস্বস্তি তৈরি করে, এমন বক্তব্য ভারত- বাংলাদেশ দুই পক্ষেরই বিরত থাকা উচিত।
ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হয়। এ বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সাথে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, চূড়ান্ত কোনো কথা হয়নি। বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল শেখ হাসিনাকে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করা।
ভিসার সুপারিশ ও কাজের অনুমোদন থাকার পরও ভিসা দিচ্ছে না ইতালির দূতাবাস। জটিলতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালির ভিসা জটিলতা নিরসনে কাজ করছে সরকার। তবে, ফেক কাগজপত্র কিংবা দুর্নীতি না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান নয়। তবে, ইতালিকে চাপে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এ মাসের শেষদিকেই বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ঢাকায় আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’