কক্সবাজারে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর, ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 8th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে কক্সবাজারের কয়েকটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পানসি রেস্তোরাঁর মালিক নুরুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো.
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে। সোমবারের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট, বীচ বিরাম এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটকও আহত হন।
তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলতো তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের মাঝে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হলো। আহতও হলো কয়েকজন। বিষয়টি প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় কেএফসি-পিৎজা হাট,পানসি, বীচ বিরাম, কাঁচা লংকা ও মেরিন ফুড নামের ৬টি রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁ মালিকরা জানান, মিছিল থেকে হঠাৎ মুবিনুল হক এবং ইনসাফ আলী নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে রেস্তোরাঁর দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এর পরপরই কয়েকশত লোকজন জড়ো হয় একের পর এক ইট মারতে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুবিনুল হকের বাড়ি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায়। ইনসাফ আলী কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা। দুজনেই এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
ঢাকা/সাইফ