ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে কক্সবাজারের কয়েকটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পানসি রেস্তোরাঁর মালিক নুরুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো.

ইলিয়াস খান সমকালকে বলেন, সোমবার কলাতলী এলাকায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাশেম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরও সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের কাজ করছে পুলিশ।

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে। সোমবারের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট, বীচ বিরাম এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটকও আহত হন।

তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলতো তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের মাঝে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হলো। আহতও হলো কয়েকজন। বিষয়টি প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় কেএফসি-পিৎজা হাট,পানসি, বীচ বিরাম, কাঁচা লংকা ও মেরিন ফুড নামের ৬টি রেস্তোরাঁ। 

রেস্তোরাঁ মালিকরা জানান, মিছিল থেকে হঠাৎ মুবিনুল হক এবং ইনসাফ আলী নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে রেস্তোরাঁর দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এর পরপরই কয়েকশত লোকজন জড়ো হয় একের পর এক ইট মারতে থাকে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, মুবিনুল হকের বাড়ি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায়। ইনসাফ আলী কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা। দুজনেই এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা