অবৈধ স্থাপনার চাপে ধসে পড়েছে ডাকঘরের প্রাচীর
Published: 8th, April 2025 GMT
সিলেটের ওসমানীনগরে অবৈধ স্থাপনার চাপে গোয়ালাবাজার সাব-পোস্ট অফিসের সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ার ঘটনা ঘটলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ঘেঁষে রয়েছে গোয়ালাবাজার ডাকঘর (সাব-পোস্ট অফিস)। ডাকঘরের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে মহাসড়কের জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে দোকানপাট তৈরি করে ভোগদখল করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। ডাকঘরের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে উঁচু করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় ডাকঘরের সীমানাপ্রাচীর হেলে পড়তে শুরু করে। সম্প্রতি ডাকঘরের ২৫ থেকে ৩০ ফুট সীমানাপ্রাচীর ধসে মাটিতে পড়ে গেছে। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ ফুট সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়লেও কয়েকটি গাছের সঙ্গে আটকে আছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গোয়ালাবাজার সাব-পোস্ট অফিসের সামনের ফটকের সীমানা ছাড়া বাকি অংশজুড়ে রয়েছে অনেক দোকানপাট। সেসব দোকানে বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করছেন অনেকে। এ ছাড়া রয়েছে একটি শ্রমিক সংগঠনের অফিস। এসব স্থাপনার চাপে পোস্ট অফিসের সামনের সীমানা প্রাচীরের একাংশ ধসে পড়েছে। সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে এক কোণে ভাগাড় তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া পোস্ট অফিসের সামনে মহাসড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাক ও পিকআপ রাখার স্ট্যান্ড।
গোয়ালাবাজার সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার জ্যোতিষ চন্দ্র সরকার বলেন, এক ঝড়বৃষ্টির
রাতে ডাকঘরের সীমানাপ্রাচীরের একাংশ ধসে পড়ে যায়। প্রাচীরের অপর অংশ ধসে পড়ে গাছের সঙ্গে আটকে আছে। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
সিলেটের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল সুজিত চক্রবর্তী বলেন, ডাকঘরের সীমানাপ্রাচীরসংলগ্ন সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে তারা বিষয়টি
সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছেন। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন,
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এ মহাসড়ক নির্মাণ কাজের সময় অবৈধ স্থাপনাগুলো এমনিতেই উচ্ছেদের আওতায় আসবে। দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প স ট অফ স র স ম স ব প স ট অফ স
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট