Samakal:
2025-12-13@15:23:32 GMT

রান্নায় তেলের ব্যবহার

Published: 8th, April 2025 GMT

রান্নায় তেলের ব্যবহার

তেল রান্নাঘরের একটি অপরিহার্য উপাদান, যা বিভিন্ন খাবারের স্বাদকে প্রাণবন্ত করে তোলে।  খাবারে স্বাদ বাড়ালেও তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের জানা উচিত সুস্বাস্থ্যের জন্য রান্নায় কী পরিমাণ ব্যবহার করব।
তেল কেন গুরুত্বপূর্ণ
তেল কেবল স্বাদ যোগ করে না, তেলের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। তেলের স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের পুষ্টিগুলোকে আরও ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। আপনি কোন ধরনের তেল রান্নায় বেছে নেন এবং কী পরিমাণ তেল ব্যবহার করেন তা পার্থক্য তৈরি করতে পারে। এক চা চামচ তেল থেকে আমরা ৯ কিলোক্যালরি শক্তি পেয়ে থাকি, যা শরীরে সহজে শক্তি সরবরাহ করে।
তেল কেন সীমিত করবেন 
অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শরীরে যেসব সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে 
lঅনেক তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে বেশি, যা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল বাড়াতে পারে।
lতেলে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে এবং প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত গ্রহণে শরীরে ক্যালরি জমে ওজন বাড়িয়ে তোলে।
lঅতিরিক্ত তেল ব্যবহারে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পরিমাণে তেল গ্রহণ করা উচিত। 
দৈনিক তেল গ্রহণের পরিমাণ 
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেল গ্রহণ করা উচিত, যেটা প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিলি। এর পরিমাণ প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলি। যদি শারীরিকভাবে আরও সক্রিয় থাকেন তাহলে একটু বেশি হতে পারে। যাদের ওজন বা কোলেস্টেরল বেশি কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা দৈনিক ২ থেকে ৩ চা চামচ তেল কিংবা তারও কম গ্রহণ করতে পারেন। তবে তা শারীরিক অবস্থাভেদে হতে পারে। মনে রাখবেন সব তেলেই ক্যালরির পরিমাণ বেশি, যা প্রতি টেবিল চামচ প্রায় ১২০ ক্যালরি, তাই তেলের প্রতিটি ফোঁটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি সামান্য পরিমাণ মনে হলেও আপনি কত ক্যালরি পাচ্ছেন তেলের ভেতর থেকে তা জানতেও পারছেন না।
সঠিক তেল নির্বাচন করুন 
সব তেল সমানভাবে তৈরি হয় না। জলপাই তেল, সরিষার তেল এবং তিলের তেল অসম্পৃক্ত চর্বির কারণে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ঘি, নারকেল তেল পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। তেলের মিশ্রণ পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে; তবে এর পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মধ্যে তেল পরিবর্তন করা বা মিশ্রিত তেল ব্যবহার করলে এর বিভিন্ন উপকারিতা পেতে পারেন। কারণ তেলে বিভিন্ন ধরনের চর্বি ও পুষ্টি থাকে; যার ফলে শরীর নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি থেকে উপকৃত হতে পারে। যেমন জলপাই তেল, নারকেল তেল, সরিষার তেল, রাইস ব্রান তেল, ক্যানোলা তেল। সালাদে জলপাই তেল ব্যবহার করা ভালো। 
তেল নিয়ন্ত্রণ রাখার টিপস 
খাবারে তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আপনাকে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন করতে হতে হবে।
lতেলের পরিমাণ সারাদিন কতটুকু খাবেন তা মেপে একটি ছোট বাটি বা বোতলে স্টক করে রাখুন।
lপরিবারের সদস্য বা যে রান্না করবেন তাঁকে প্রশিক্ষণ দিন রান্নায় তেলের ব্যবহার সম্পর্কে, কীভাবে কতটুকু রান্না করবেন। এটা তাঁর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করুন।
lননস্টিক রান্নার পাত্র ব্যবহার করুন। এটি তেলের ব্যবহার কমাতে সাহায্য করে।
lতেল স্প্রে বা ব্রাশ ব্যবহার করে দেখুন। বিশেষ করে সালাদ এবং সবজি ভাজার ক্ষেত্রে। 
lস্বাদের জন্য অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করে ভেষজ মসলা, লেবুর রস, ভিনেগার, সস এসব দিয়ে রান্না করুন। 
লেখক: পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ত ল ব যবহ র ব যবহ র কর র ব যবহ র পর ম ণ ব র পর ম ণ র জন য গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দি‌লেন মেজর (অব.) আ

বিএনপির সা‌বেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলা‌দেশ জামায়াতে ইসলামী‌তে যোগদান ক‌রে‌ছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দ‌লের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ ক‌রার মধ‌্য দি‌য়ে আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে তিনি জামায়া‌তে যোগ দেন। 

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

দল‌টি‌তে যোগ‌ দি‌য়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।

ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দি‌য়ে বরণ ক‌রেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএন‌পিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরু‌দ্ধে মন্তব‌্য করাসহ নানা ‌বিত‌র্কিত কর্মকা‌ণ্ডের জন‌্য তিনি আলোচিত হন।  

বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ