রেজাল্ট খারাপ করলে সন্তানকে কতটা শাসন করবেন?
Published: 9th, April 2025 GMT
অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের অদৃশ্য প্রতিযোগিতাও চলে কোথাও কোথাও। একই প্রতিষ্ঠানে পড়ছে এমন শিশুর সঙ্গে, এমনকি নিজের পরিবারের কারও সঙ্গেও পাল্লা দেওয়ার ভয়াবহ মানসিকতা কারও কারও মধ্যে থাকে। নিজের জীবনের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ভুলটাও করে বসেন কেউ কেউ। অভিভাবকের এমন নেতিবাচক আচরণের প্রভাব সন্তানের ওপর কতটা পড়ে, আদতে এসব বিষয়ে কতটা শাসন করা যুক্তিযুক্ত, এ বিষয়ে জানাচ্ছেন শিশুকিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ও যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা.
টুম্পা ইন্দ্রানী ঘোষ।
চোখ গরম করা, কড়া কথা, বকাঝকা, তিরস্কার, অন্যের সঙ্গে তুলনা, মারধর—এগুলো শিশুর জন্য নেতিবাচক। এমন শাসনে শিশু হীনম্মন্যতায় ভোগে। কড়া শাসন করা হলে বা শাস্তি দেওয়া হলে শিশু ভয় পায়। এ ধরনের আচরণ পেতে থাকলে একসময় তার আত্মবিশ্বাসটাই হারিয়ে যেতে পারে। হতাশায় ভুগতে পারে শিশু। কিছু অভিভাবক ফলাফল হাতে পাওয়া মাত্র শিশুকে তার সহপাঠীদের সামনে শাসন করা শুরু করেন। এ রকম আচরণ শিশুর আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে।
আরও পড়ুনশিশুরা কোন বয়সে কী ভয় পায়০৬ নভেম্বর ২০২৪মেজাজ বিগড়ালেসন্তান পড়ালেখার বিষয়গুলোকে কতটা আত্মস্থ করতে পেরেছে, তা বোঝার চেষ্টা করুনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।
মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।
উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।