ইসরায়েলের সাবেক তারকা ফুটবলার এবং ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার ইয়োসি বেনায়ুনের বাড়িতে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে তেল আবিবের কাছে রামাত হাশারুন এলাকায় অবস্থিত তার বাসভবনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ভাগ্যক্রমে বেনায়ুন ও তার পরিবারের কেউ হতাহত হননি।

হামলার সময় পরিবারের সঙ্গে নিজ বাসাতেই ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী বেনায়ুন। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলযোগে এক ব্যক্তি এসে তার বাড়ির দরজার দিকে গ্রেনেড ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রাত প্রায় ১১টার দিকে ঘটে এই বিস্ফোরণ, যাতে বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রথমে বিস্ফোরণকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ভেবেছিলেন বেনায়ুন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ভুলবশত ঘটেছে। আমার বাসাকে টার্গেট করা হয়েছে, এমনটা মনে হয় না। প্রথমে ভেবেছিলাম গ্যাসের বিস্ফোরণ, তাই ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি। পরে পুলিশ এসে জানায় এটি গ্রেনেড ছিল এবং তারা ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে।’

ঘটনার পর ইসরায়েলি পুলিশ গ্লিলোত স্টেশনের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।  

ইসরায়েলের হয়ে ১০১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বেনায়ুন জাতীয় দলের হয়ে ২৪টি গোল করেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে ওয়েস্ট হামের হয়ে এফএ কাপ রানার্সআপ এবং চেলসির হয়ে ইউরোপা লিগ জয় করেন তিনি। লিভারপুল, চেলসি এবং আর্সেনালের হয়ে প্রায় এক দশক খেলা বেনায়ুন ২০১৩–১৪ মৌসুমে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের হয়ে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ