ইসারায়েলি সাবেক ফুটবলারের বাসায় গ্রেনেড হামলা
Published: 9th, April 2025 GMT
ইসরায়েলের সাবেক তারকা ফুটবলার এবং ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার ইয়োসি বেনায়ুনের বাড়িতে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে তেল আবিবের কাছে রামাত হাশারুন এলাকায় অবস্থিত তার বাসভবনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ভাগ্যক্রমে বেনায়ুন ও তার পরিবারের কেউ হতাহত হননি।
হামলার সময় পরিবারের সঙ্গে নিজ বাসাতেই ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী বেনায়ুন। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলযোগে এক ব্যক্তি এসে তার বাড়ির দরজার দিকে গ্রেনেড ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রাত প্রায় ১১টার দিকে ঘটে এই বিস্ফোরণ, যাতে বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রথমে বিস্ফোরণকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ভেবেছিলেন বেনায়ুন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ভুলবশত ঘটেছে। আমার বাসাকে টার্গেট করা হয়েছে, এমনটা মনে হয় না। প্রথমে ভেবেছিলাম গ্যাসের বিস্ফোরণ, তাই ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি। পরে পুলিশ এসে জানায় এটি গ্রেনেড ছিল এবং তারা ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে।’
ঘটনার পর ইসরায়েলি পুলিশ গ্লিলোত স্টেশনের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ইসরায়েলের হয়ে ১০১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বেনায়ুন জাতীয় দলের হয়ে ২৪টি গোল করেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে ওয়েস্ট হামের হয়ে এফএ কাপ রানার্সআপ এবং চেলসির হয়ে ইউরোপা লিগ জয় করেন তিনি। লিভারপুল, চেলসি এবং আর্সেনালের হয়ে প্রায় এক দশক খেলা বেনায়ুন ২০১৩–১৪ মৌসুমে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের হয়ে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল