যশোরের চৌগাছায় নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। আজ বুধবার উপজেলার মশ্মমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত রিক্তা বেগম ওই গ্রামের রোকন আলীর স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, রিক্তা বেগমের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। সৎছেলের হাতে তিনি খুন হয়েছেন। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্ত্রীর ছেলে বরকত আলী। ঘটনার পর থেকে বরকত ও তাঁর মা–বাবা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে কৃষক রোকন আলীর সঙ্গে রিক্তা বেগমের বিয়ে হয়। এটা দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্বামীর ঘরে রিক্তার একটি মেয়ে আছে। রোকন আলীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে বরকত আলী। আজ সকালে রোকন আলী খেতে কাজ করতে যান। তাঁর প্রথম স্ত্রী বাজার-সদাই করতে চৌগাছা শহরে যান। বাড়িতে ছিলেন রিক্তা ও বরকত। রিক্তা ঘরে কাজ করছিলেন। তখন বরকত পেছন থেকে তাঁর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেন। বরকতকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, ঘরের মেঝেতে রিক্তার লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করায় রোকন আলীর পরিবারে অশান্তি চলছিল। প্রথম স্ত্রীর ছেলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। সেই সূত্র ধরে রিক্তা বেগম হত্যা হতে পারেন। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, তা এই মুর্হূতে বলা যাচ্ছে না। ঘটনার তদন্ত চলছে। রিক্তা বেগম খুন হওয়ার পর থেকে তাঁর স্বামী রোকন আলী, তাঁর প্রথম স্ত্রী ও ছেলে বরকত পলাতক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম স ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ