মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও এর নামকরণে জনগণের বোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানানোর দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলা বর্ষপঞ্জি ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট আকবরের সময় ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে হিজরি সন অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। গ্রামবাংলা ও শহরাঞ্চলে বিভিন্ন লোকসংগীত, হালখাতা, পিঠা-পুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে, যা বাঙালি সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কিন্তু মাত্র তিন দশক ধরে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মনগড়া ও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য, উৎসব ও জাতিসত্তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিশেষ করে, পতিত স্বৈরাচারের আমলে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যেভাবে কলকাতার উচ্চবর্ণের হিন্দু সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো হয়েছে, তা দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও অনুভূতিকে আঘাত করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ  ও বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ভিনদেশি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার নীলনকশা এঁকেছিল ফ্যাসিস্ট ও নতজানু পতিত সরকার। মঙ্গল শোভাযাত্রার আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির স্বকীয়তা নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত ছিল স্পষ্ট।

মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো বৈজ্ঞানিক বা বিশ্বাসগত ভিত্তি নেই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা, এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও এর নামকরণে জনগণের বোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানানো হবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মুখোশ, পেঁচা ও নানা রকম মূর্তির প্রদর্শন, আসলে বাঙালি সংস্কৃতির নামে এক অপসংস্কৃতির প্রচার। প্রকৃতপক্ষে, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়। মঙ্গল কখনোই এসব প্রতীকের মাধ্যমে আসে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। পৌত্তলিকতার প্রসারের লক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বৈশাখ উদযাপন দেশের সচেতন ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে চাপিয়ে দেওয়া সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বিরত থেকে ইসলাম-বিধৌত বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে দেশবাসী ও সচেতন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ খ উদয প

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 

মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।

আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়। 

আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।

কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।

দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।

এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • ধাপে ধাপে ইরানে হামলার যে কৌশল নেয় ইসরায়েল
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান সাবেক শাহের পুত্রের
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • তারুণ্যের ভাবনায় লাল সবুজ সোসাইটি
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’