বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের চেকলিস্টে যে পরীক্ষা রাখা উচিত

বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সহজ একটি কাজ করতে পারেন। ঘরে বসানো গ্রাউন্ড ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (জিএফসিআই) নামক যন্ত্রটি কাজ করছে কি না, মাঝেমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ বলছে, দেশটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার মৃত্যু এবং কমপক্ষে ৩০ হাজার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০ শতাংশই শিশু। জিএফসিআই পরীক্ষাটি সহজ, সস্তা এবং দ্রুত করা যায়। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করতে পারেন সহজেই।

জিএফসিআই কী

জিএফসিআই হলো একটি সার্কিট ব্রেকার। এই সেফটি যন্ত্রটি মানুষকে বিদ্যুতায়িত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বুঝিয়ে বলি। আপনি তার বা সকেটের দ্বারা বিদ্যুতায়িত হলে আপনার শরীরকে পরিবাহী বানিয়ে বিদ্যুৎ মাটিতে যায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের যন্ত্র এই প্রক্রিয়া ঘটার আগেই বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অন্যভাবে বললে, বাসার কোনো সকেটে যা-ই প্লাগ ইন করা হোক, জিএফসিআই সেটা পর্যবেক্ষণ করে। কোনো অসামঞ্জস্য বা ইলেকট্রিক শকের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখলেই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বাঁচা যায়। এর বাইরেও অন্য সুরক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে নতুন বাসায় উঠে জিএফসিআই না দেখলে বা সুরক্ষা নিয়ে মনে খটকা থাকলে ইলেকট্রিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।

বাসাবাড়ির যেখানে পানি বেশি ব্যবহৃত হয়, সেখানে জিএফসিআই থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বেশি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ