বাংলাদেশের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘ক্যামন ৪০’ ও ‘ক্যামন ৪০ প্রো’ মডেলের দুটি ফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে টেকনো। একাধিক শক্তিশালী এআই ফিচার থাকায় স্মার্টফোনগুলোতে সহজেই ভালো মানের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়। আইপি৬৬ প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় পানিতে পড়ে গেলেও নষ্ট নয় না ফোনগুলো। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টেকনো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফোন দুটির পেছনে ৫০ ও ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা নাইট ক্যামেরা থাকায় অন্ধকারেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিসহ ৪৫ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার থাকায় দ্রুত চার্জ করার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায় ফোন দুটি। ফলে ব্যাটারির চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

আরও পড়ুনপাতলা স্মার্টফোন তৈরির দৌড়ে অ্যাপল ও স্যামসাংকে পেছনে ফেলল যে প্রতিষ্ঠান০৬ মার্চ ২০২৫

ফোন দুটির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। তবে এখনই বাজারে পাওয়া যাবে না ফোন দুটি। আগ্রহী ক্রেতারা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ফোন দুটি কেনার জন্য অগ্রিম নিবন্ধন করতে পারবেন। অগ্রিম নিবন্ধন করলে মডেলভেদে ব্যাকপ্যাক ও স্মার্ট ঘড়ি উপহার পাওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ