মেয়ের বয়স ১৮ হলে সম্পর্কে জড়াব: পবন কল্যাণের প্রাক্তন স্ত্রী
Published: 10th, April 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ পবন কল্যাণের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন অভিনেত্রী রেনু দেশাই। এটি ছিল পবনের দ্বিতীয় বিয়ে। এ সংসারে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তবে ২০১২ সালে চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পবন।
পবন কল্যাণ আবারো বিয়ে করলেও এখনো একা রেনু দেশাই। ৪৩ বছর বয়সি রেনু গত ১৩ বছর ধরে একা জীবনযাপন করছেন। আর কত দিন একা জীবন কাটাবেন রেনু? এ নিয়ে অতীতেও কথা বলেছেন। ফের একটি পডকাস্টে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন এই অভিনেত্রী।
নিখিল বিজয়েন্দ্র সিংহের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলাপকালে রেনু দেশাই বলেন, “অবশ্যই আমি অনুভব করি, আমারও একজন পার্টনার থাকা উচিত। কিন্তু সন্তানদের প্রতি আমার দায়িত্ববোধই আমাকে বিয়ে করতে বাধা দেয়। আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখি, তবে আমার একজন প্রেমিক থাকা উচিত, আমার বিয়ে করা উচিত, আমার একটি জীবন থাকা উচিত। যখন বাচ্চাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, তখন এটি একেবারে আলাদা।”
আরো পড়ুন:
তামান্নার নতুন আইটেম গানের শুটিংয়ের ভিডিও ফাঁস
অগ্নিদগ্ধ পবন কল্যাণের ৮ বছরের পুত্র
২০১৯ সালে রেনু দেশাই জানিয়েছিলেন, নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে তাদের বাগদানও হয়েছে। খুব শিগগির বিয়ে করবেন। কার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেন তা অবশ্য জানাননি। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি।
মূলত, বাগদান ভেঙে দিয়েছিলেন রেনু। বাগদান ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমি বাগদান সেরেছিলাম, এটি একটি সাজানো জিনিসের মতো ছিল। কিন্তু আমি উপলদ্ধি করতে পারি, আমি একটি সম্পর্ক বা বাচ্চাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে পারব না। আমি একজন সিঙ্গেল প্যারেন্ট। আপনি যখন কাউকে বিয়ে করেন এবং এ সম্পর্কে সন্তান ধারণ করেন তখন এটি আলাদা বিষয়। কিন্তু আপনার যখন অন্য সংসারের সন্তান থাকে, তারপর নতুন সংসারের সমীকরণে এটি সংবেদনশীল বিষয়।”
রেনুর কন্যা আধ্যর বয়স এখন ১৫ বছর। কন্যা অষ্টাদশী হলে তবেই নতুন সম্পর্কে জড়াতে চান রেনু। এ অভিনেত্রী বলেন, “মেয়ের বয়স যখন ১৮ হবে, মেয়ে কলেজে যাওয়া শুরু করলে দ্বিতীয়বার সম্পর্কে জড়াব।”
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন রেনু দেশাই। ২০০০ সালে তেলেগু ভাষার ‘বদ্রি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এতে পবন কল্যাণও অভিনয় করেন। একই বছর তামিল ভাষার ‘জেমস পানড়ু’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইশক ওয়ালা লাভ’ সিনেমাটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন রেনু দেশাই। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা ২০২৩ সালের অক্টোবরে মুক্তি পায়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের নোবলনগর এলাকায় গতকাল বুধবার গাড়ির নিচে পড়ে গিয়েছিল তিন বছরের এক শিশুকন্যা। তবে অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে সে।
অভিযোগ উঠেছে, এক কিশোর গাড়িটি চালাচ্ছিল। এ ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গাড়িতে নম্বর প্লেট ছিল না, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল। পুলিশ ঘটনার পর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন শিশুটি তার বাড়ির বাইরে রাস্তায় খেলা করছিল। কিশোর চালকটি তাকে দেখতে না পেয়ে তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করার পর চালক গাড়িটি থামায়। সঙ্গে সঙ্গে লোকজন জড়ো হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়ি থামানোর পর ভীতসন্ত্রস্ত শিশুটি চিৎকার করতে করতে গাড়ির নিচ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে চালকও বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর একজন নারী ওই কিশোর চালককে চড় মারছেন। এ সময় শিশুটি হাঁটাচলা করতে পারছিল।
আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তারা চালকের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ‘জি’ ডিভিশন ট্রাফিক থানায় বিএনএস আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটি সড়কের নিরাপত্তা এবং আবাসিক এলাকায় আরও বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ঘটনাটিকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটি ১০০ ভাগ আটকানো যেত। এর একটাই অলঙ্ঘনীয় নিয়ম—অপ্রাপ্তবয়স্ক বা লাইসেন্সবিহীন কোনো ব্যক্তিকে কখনোই গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। গাড়ির চাবি শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদে দূরে রাখতে হবে। লাইসেন্সধারী চালকের জন্য নিয়ম হলো, সব সময় ধীরে ধীরে গাড়ি ঘোরানো এবং ভালোভাবে সব লুকিং গ্লাস ও ব্লাইন্ড স্পট পরীক্ষা করা।’
আরেক ব্যবহারকারী মা–বাবাকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই ভিডিও প্রমাণ করেছে যে অলৌকক ঘটনা সত্যিই ঘটে...কিন্তু সব সময় নয়। রাস্তা খেলার জায়গা নয়...মা–বাবার উচিত বাচ্চাদের দিকে সব সময় নজর রাখা।’
অন্য আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটি কীভাবে গাড়ির চাবি পেল? তার মা–বাবাকে কারাগারে পাঠানো উচিত।’