এক্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের নতুন নিয়ম, যা মানতে হবে ব্যবহারকারীদের
Published: 11th, April 2025 GMT
ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত ও নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন নিয়ম চালু করেছে খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট এক্স (সাবেক টুইটার)। নতুন নিয়মের আওতায় যেসব অ্যাকাউন্ট অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে, সেসব অ্যাকাউন্টে নামের শুরুতেই স্পষ্টভাবে ‘ফেক’ বা ‘প্যারোডি’ শব্দ যুক্ত করতে হবে। শুধু নামই নয়, প্রোফাইল ছবিতেও থাকতে হবে স্বাতন্ত্র্য। মূল বা আসল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ছবির মিল থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
এক্স জানিয়েছে, নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য হলো প্ল্যাটফর্মে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্তির ঝুঁকি কমানো। প্যারোডি, ফ্যান ও কমেন্টারি অ্যাকাউন্টগুলো যে আসল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নয়, তা সহজে বুঝতে ব্যবহারকারীদের সহায়তা করবে এই পরিবর্তন।
এক্সে থাকা বিভ্রান্তিকর প্যারোডি অ্যাকাউন্ট নিয়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে ইলন মাস্ককে ঘিরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করে চলেছে। অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে ভুয়া ইলন মাস্কের অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা পান তাঁরা। এ সমস্যা সমাধানে গত জানুয়ারি মাসে প্যারোডি অ্যাকাউন্ট শনাক্তে বিশেষ ‘লেবেল’ চালু করে এক্স। তবে এর মাধ্যমে প্যারোডি অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হওয়ায় এবার নতুন নিয়ম চালু করেছে খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইটটি।
সম্প্রতি ১০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে এমন একটি প্যারোডি অ্যাকাউন্ট এক পোস্টে এক্স ব্যবহারকারীদের টেসলা গাড়ি উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পোস্টটিতে প্রায় ৪ লাখ ২৮ হাজার লাইক এবং ২ লাখের বেশি মন্তব্য জমা হয়। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, এসব অ্যাকাউন্ট ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুনইলন মাস্কের এক্সে চাকরির সুযোগ, লাগবে না সনদ বা অভিজ্ঞতা২০ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।
মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।
বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ