কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল
Published: 11th, April 2025 GMT
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কৃষি গুচ্ছভুক্ত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ের ডিগ্রি প্রদানকারী নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রসমূহে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্যে গাকৃবি’র ৭টি অনুষদে আসন রয়েছে ৪৩৫টি। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৮৬৩ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ৩৬ শিক্ষার্থী। এ হিসাবে প্রতি আসনে গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৫ জন।
সহকারী রেজিস্ট্রার আব্বাস বলেন, এবারের প্রথম বর্ষের ভর্তিতে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)র সাতটি অনুষদে আসন রয়েছে ৪৩৫টি। আর ভর্তি পরীক্ষায় গাকৃবির বিভিন্ন কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করবেন ৮ হাজার পরীক্ষার্থী।
এ বছর কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), ময়মনসিংহ।
গাকৃবি উপাচার্য জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে আরও দক্ষ ও প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।
পরীক্ষার্থীদের অগ্রিম শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সব নিয়মাবলী মেনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ