রেলওয়ে হাসপাতালগুলো নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘রেলওয়ে হাসপাতালে এখন থেকে রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকা চিকিৎসকদের পদায়ন করা হবে এখানে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে।’

শুক্রবার চট্টগ্রামের সিআরবিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে সদরদপ্তর ও সংলগ্ন রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। হাসপাতালের পরিচালনা ও সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের চারটি নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা। 

এগুলো হচ্ছে– হাসপাতাল পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিৎসক সংযুক্তি দিতে হবে এ হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও রোগীর খাবার সরবরাহের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে সকালে উপদেষ্টা পাহাড়তলীতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেরামত কারখানা, ডিজেলশপ, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ক্লাব, রেলওয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় উপদেষ্টা এসব স্থাপনার পরিবেশ ও মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। 

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রেলওয়ের ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানা ওয়ার্কশপে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। তখন বাইরে থেকে ইঞ্জিন ও কোচের যন্ত্রপাতি এনে এখানে সংযোজন করা যাবে। এতে সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে। 

উপদেষ্টার কাছে কারখানার কর্মকর্তারা লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। জবাবে তিনি বলেন, হঠাৎ করে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান সংকট ও সমস্যাগুলো নিরসন করা হবে। তবে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজ করে যেতে হবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে। 

কারখানাসহ রেলের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যববস্থাপক প্রকৌশলী মো.

সবুক্তগীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট কর মকর ত উপদ ষ ট র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই স্মৃতিচারন: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি

গত জুলাইয়ের আজকের এই দিনে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গনহত্যা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে “মার্চ ফর জাস্টিস" কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যৌক্তিক দাবিতে সেদিন নারায়ণগঞ্জের রাজপথেও নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

সেইদিনের সৃতিচারন করতে গিয়ে একটি বেসরকারি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাহমান গাফফারি জানান, “স্টুডেন্টরা তুলনামূলক কম উপস্থিত থাকায় সেদিন তারাতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে যায়, তবে আমরা ব্যাগে করে দু টুকরো লাল কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, ছুটি যদি নাও হয় আমরা লিভ নিয়ে শিক্ষকরা মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে আংশগ্রহন করবো।

তারপর কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পদযাত্রায় বের হই এবং সাইনবোর্ডে অবস্থান করি এবং আন্দোলনরতদের মাঝে বিক্সুট ও পানি বিতরন করি। বিকেল ৪ টায় ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তীদিনের “রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস" কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলে উৎসাহ দিয়ে কর্মসূচি শেষ করি।"

সম্পর্কিত নিবন্ধ