সাধারণ মানুষও চিকিৎসা পাবেন রেল হাসপাতালে: উপদেষ্টা ফাওজুল
Published: 11th, April 2025 GMT
রেলওয়ে হাসপাতালগুলো নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘রেলওয়ে হাসপাতালে এখন থেকে রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকা চিকিৎসকদের পদায়ন করা হবে এখানে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে।’
শুক্রবার চট্টগ্রামের সিআরবিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে সদরদপ্তর ও সংলগ্ন রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। হাসপাতালের পরিচালনা ও সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের চারটি নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
এগুলো হচ্ছে– হাসপাতাল পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিৎসক সংযুক্তি দিতে হবে এ হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও রোগীর খাবার সরবরাহের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে সকালে উপদেষ্টা পাহাড়তলীতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেরামত কারখানা, ডিজেলশপ, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ক্লাব, রেলওয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় উপদেষ্টা এসব স্থাপনার পরিবেশ ও মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রেলওয়ের ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানা ওয়ার্কশপে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। তখন বাইরে থেকে ইঞ্জিন ও কোচের যন্ত্রপাতি এনে এখানে সংযোজন করা যাবে। এতে সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে।
উপদেষ্টার কাছে কারখানার কর্মকর্তারা লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। জবাবে তিনি বলেন, হঠাৎ করে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান সংকট ও সমস্যাগুলো নিরসন করা হবে। তবে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজ করে যেতে হবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে।
কারখানাসহ রেলের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যববস্থাপক প্রকৌশলী মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট কর মকর ত উপদ ষ ট র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
আগামীকাল ফের সংস্কারের সংলাপ
ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামীকাল মঙ্গলবার ফের শুরু হচ্ছে সংস্কারের জন্য গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এর পর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হবে।
গত ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের উদ্বোধন করেন। পরদিন শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রথম দিনে ৭০ অনুচ্ছেদ, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিয়ে ঐকমত্য গঠনে ৩০ রাজনৈতিক দল এবং জোটের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়। প্রথম দিনের আলোচ্য সূচিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতায় তা হয়নি। প্রথম তিন ইস্যুতেও আলোচনা অসমাপ্ত থাকে।
আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সংলাপে এই তিন ইস্যুতেও আলোচনা হবে। আলোচ্য সূচিতে রয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। সংলাপ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে। সভাপতিত্ব করবেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।