ঢাবিতে ১৫তম স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডে ১০ শিক্ষার্থী বিজয়ী
Published: 11th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ গণিত সমিতি-এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ১৫তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪’-এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে দিনব্যাপী এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে গণিত ভবন থেকে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ১০ শিক্ষার্থী হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফওজিয়া আফিয়া ইসলাম ও মো.
ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি এবং পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম এবং ১৫তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনিরুল আলম সরকার বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, গণিত আমাদের চিন্তাশক্তি ও যুক্তিকে ক্ষুরধার করে। এর নিজস্ব একটি ভাষা রয়েছে। এই ভাষা আয়ত্ত করতে গণিতচর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। গণিতের জ্ঞান পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মজীবনে সবসময় কাজে লাগবে। এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের সম্মিলন ঘটেছে।
অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি কাটাতে গণিতের চর্চা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই অলিম্পিয়াড কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুস সালাম বিশেষ অতিথি ছিলেন।
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং ৬টি বিভাগ থেকে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের ৮৩ জন শিক্ষার্থী অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।