সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে হাত-পা বেঁধে গরম পানি ঢেলে নির্য
Published: 12th, April 2025 GMT
কুমিল্লার লাকসামে সন্তানদের নামে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় আবদুল জলিল (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে লাকসাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে বাবাকে টেনে-হিঁচড়ে হাত-পা বেঁধে তার মুখে গরম পানি ঢালা হচ্ছে। ওই সময় আবদুল জলিল সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনকারীরা হলেন জলিলের স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৫), ছেলে শান্ত (২৮), নোমান (২০), রকি (১৬), এবং মেয়ে নাজমিন (২৬) ও নুপুর (১৩)। প্রবাসে থাকা বড় ছেলে শান্ত দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে নির্যাতনের পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জলিলকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, স্ত্রী ও সন্তানেরা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ভরণপোষণ না দিয়ে নানা নির্যাতন করে আসছিল। সম্প্রতি টাকা লেনদেন ও সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার জেরে তাকে মারধর করা হয়। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত আবদুল জলিল থানায় তার সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রুবেল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম