উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়?অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এতে কিছুদিনের জন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এ কারণে রাতে ঘুমানোর আগে দুটি উপকরণ ব্যবহার করলেই ত্বক হবে মসৃণ, সুন্দর। এগুলো হলো নারকেল তেল আর ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এ দুটি উপকরণ ব্যবহারে ত্বকের যেসব উপকার হয়-
ত্বককে আর্দ্র করে তোলে
নারকেল তেল আমাদের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে; কারণ এটি ত্বকে খুব সহজেই শোষিত হয়। একই সাথে, যখন এতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করা হয়, তখন ত্বক আরও বেশি হাইড্রেটেড হয়ে যায়। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক এবং প্রাণহীন হয়, তাহলে আপনার এই দুটি জিনিসই ব্যবহার করা উচিত।
কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে
যদি আপনার মুখে দাগ এবং দাগ থাকে, তাহলে ঘুমানোর আগে মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এই দুটি উপকরণ ব্যবহার করলে ত্বকে উপস্থিত কোষগুলি পুনরুজ্জীবিত হয়। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর
ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক সুরক্ষিত থাকে। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করুন । এই দুটি উপাদান দীর্ঘ সময় ত্বকে তারুণ্যতা বজায় রাখে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার বিশাকুড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে ওই তরুণের বাসা থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় আফতাব উদ্দিন ওরফে আবির (১৯) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তিনি শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, আফতাব উদ্দিনের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা রয়েছে ও নাশকতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে আটক করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ডামুড্যায় আসে। তারা আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন রোববার ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফতাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারকের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাঁকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই তরুণ অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদে স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ (সেলফ মোটিভেটেড) হওয়ার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে কিছু একটা করবে, এমন চেষ্টা করছিল। তার আগেই আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে আইএসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার দিকে (আইএস) সে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, এমন বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন। তিনি ডামুড্যা উপজেলা সদরের পূর্ব ডামুড্যা সরকারি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর বাবা আবদুল মালেক হাওলাদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আফতাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করলে বোমা তৈরির উপকরণ পাওয়া যায়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বলা যাবে না।