ফুটবলে সবচেয়ে বড় ম্যাচ কোনটি?

বিশ্বকাপ ফাইনাল...! এটাই হওয়ার কথা। গোটা দুনিয়া থেকে বাছাই করা দলগুলো ফিফা বিশ্বকাপে খেলে। সেই বিশ্বকাপটা হয় আবার প্রতি চার বছরে একবার। বিশ্বজুড়ে ফুটবলের উন্মাদনা তৈরি করা ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণ হয় যে ম্যাচে, সেই ফাইনালই তো ফুটবল–দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ।

কেউ কেউ অবশ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কথাও বলতে পারেন। পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশে চ্যাম্পিয়নস লিগ হলেও ইউরোপের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিশেষভাবে আলাদা। জনপ্রিয়তায়, তারকার সমাগমে আর অর্থের ছড়াছড়ি মিলিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগও আলোড়ন তোলে গোটা বিশ্বেই।

তবে একটা জায়গা ফিফা বিশ্বকাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল বেশ পেছনেই পড়তে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে এমন একটি ফুটবল ম্যাচ হতে চলেছে, যার টিকিটের দাম ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি। এত বেশি দাম দিয়ে কেউ এর আগে কখনো মাঠে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখেননি।

বলে রাখা ভালো, ইতিহাসগড়া দামের হিসাবে ভিআইপি টিকিট অন্তর্ভুক্ত নয়। শতকোটিপতি আর রাজন্যবর্গের টিকিট সব সময়ই আকাশছোঁয়া ছিল। দামে ইতিহাস হতে যাচ্ছে আমজনতার টিকিটে।

ফিফা ২০০০ সাল থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে এলেও সেটি ছিল শুধু মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে। অনুষ্ঠিত হতো প্রতিবছর (২০২৩ পর্যন্ত ২০ বার হয়েছে)। তবে চলতি বছর থেকে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে। অংশ নেবে ৬ মহাদেশের ৩২টি দল। ইন্টার মায়ামি ও আল আহলির ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৪ জুন হার্ড রক স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুলাইয়ের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের দাম ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের ম্যাচটির সবচেয়ে সস্তা টিকিটের দাম ৬০০ ইউরো, সর্বোচ্চ ৮ হাজার ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮২ হাজার টাকার বেশি থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ক ল ব ব শ বক প ফ ইন ল সবচ য় ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ