এত টাকা খরচে ফুটবল ম্যাচ কেউ দেখেনি
Published: 12th, April 2025 GMT
ফুটবলে সবচেয়ে বড় ম্যাচ কোনটি?
বিশ্বকাপ ফাইনাল...! এটাই হওয়ার কথা। গোটা দুনিয়া থেকে বাছাই করা দলগুলো ফিফা বিশ্বকাপে খেলে। সেই বিশ্বকাপটা হয় আবার প্রতি চার বছরে একবার। বিশ্বজুড়ে ফুটবলের উন্মাদনা তৈরি করা ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণ হয় যে ম্যাচে, সেই ফাইনালই তো ফুটবল–দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ।
কেউ কেউ অবশ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কথাও বলতে পারেন। পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশে চ্যাম্পিয়নস লিগ হলেও ইউরোপের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিশেষভাবে আলাদা। জনপ্রিয়তায়, তারকার সমাগমে আর অর্থের ছড়াছড়ি মিলিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগও আলোড়ন তোলে গোটা বিশ্বেই।
তবে একটা জায়গা ফিফা বিশ্বকাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল বেশ পেছনেই পড়তে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে এমন একটি ফুটবল ম্যাচ হতে চলেছে, যার টিকিটের দাম ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি। এত বেশি দাম দিয়ে কেউ এর আগে কখনো মাঠে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখেননি।
বলে রাখা ভালো, ইতিহাসগড়া দামের হিসাবে ভিআইপি টিকিট অন্তর্ভুক্ত নয়। শতকোটিপতি আর রাজন্যবর্গের টিকিট সব সময়ই আকাশছোঁয়া ছিল। দামে ইতিহাস হতে যাচ্ছে আমজনতার টিকিটে।
ফিফা ২০০০ সাল থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে এলেও সেটি ছিল শুধু মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে। অনুষ্ঠিত হতো প্রতিবছর (২০২৩ পর্যন্ত ২০ বার হয়েছে)। তবে চলতি বছর থেকে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে। অংশ নেবে ৬ মহাদেশের ৩২টি দল। ইন্টার মায়ামি ও আল আহলির ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৪ জুন হার্ড রক স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুলাইয়ের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের দাম ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের ম্যাচটির সবচেয়ে সস্তা টিকিটের দাম ৬০০ ইউরো, সর্বোচ্চ ৮ হাজার ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮২ হাজার টাকার বেশি থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ক ল ব ব শ বক প ফ ইন ল সবচ য় ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫