Samakal:
2025-11-02@20:50:43 GMT

তেত্রিশে পা দৃষ্টির

Published: 12th, April 2025 GMT

তেত্রিশে পা দৃষ্টির

১৯৯২ সালে সমাজের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। হাঁটি হাঁটি পা করে দীর্ঘ ৩৩ বছর সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদান রেখে আসছে সংগঠনটি। শিক্ষা, সংস্কৃতি স্বেচ্ছাসেবী কাজসহ দুর্যোগকালে সংগঠনের সদস্যরা ছুটে যান মানবিক কাজে। ৩২ পেরিয়ে ৩৩-এ পা দিল দৃষ্টি চট্টগ্রাম। দীর্ঘ এ পথচলায় ত্যাগ, সংগ্রাম, পাওয়া না পাওয়ার গল্প নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান। নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানে মিলিত হন সংগঠনের উপদেষ্টা, সংগঠক, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, দৃষ্টি ডিবেট ক্লাবের চেয়ারম্যান সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সচিব, কবি অভিক ওসমান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক, কবি ওমর কায়সার, শিক্ষাবিদ মুজিব রাহমান, সাংবাদিক ডেইজি মউদুদ, শাহনেওয়াজ রিটন, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি বৃজেট ডায়েস, দৈনিক সমকালের সিনিয়র সহসম্পাদক ও লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি কশসাফুল হক শেহজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.

আদনান মান্নান, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি ফারুক তাহের, মুজাহিদুল ইসলাম, প্রণব চৌধুরী, জাবেদ হোসেন, ইয়াসির সিল্মী, মিথিলা আফরিন, মোহাম্মদ তাজ। 
অনুষ্ঠানের শুরুতে দৃষ্টি চট্টগ্রামের ৪ জন সংগঠক মাইনুল ইসলাম সোহেল, সৌমেন চৌধুরী, রেজা চৌধুরী ও আশরাফ শাহদাত সায়মনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরসরাই উপজেলার মধ্যম নাহেরপুর ৪নং ধুম ইউনিয়নের একজন গরিব বর্গাচাষিকে একটা পানির পাম্প উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন– দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সিনিয়র সহসভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক তানভীর আল জাবের, আবৃত্তি সম্পাদক সাদিয়া আফরিন, বিতর্ক সম্পাদক হোসাইন সামী, সদস্য অলক নাথ, অ্যাডভোকেট আবু সাইম, আরাফাত অভী, ইতু দত্ত, হাসান মাহাদী, ইয়াসিন শাকিব, জুনায়েদ আসাদ, আরাফাত কবির।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন অন ষ ঠ ন স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার

স্বাধীনতার পর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা সবাই হিন্দুদের ব্যবহার করে শুধু নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার।

আজ শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা চত্বরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু কমিটির উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়ন ও ডুমুরিয়া-ফুলতলাসহ দেশের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে এখন প্রয়োজন ইসলামি সরকার। যাঁরা দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে ভয়-হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকিতে হিন্দুরা আর ভয় পাবে না। হিন্দুদের বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫৪ বছর যারা দেশ চালিয়েছে তারা সন্ত্রাস, দখলদারি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে হিন্দুদের শোষণ করেছে। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। লাঙলের শাসন দেখেছি, ধানের শীষের শাসন দেখেছি, নৌকার শাসনও দেখেছি। একটি দলই বাকি—জামায়াতে ইসলামী, তার প্রতীক দাঁড়িপাল্লা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়ের বিষয়টি তুলে ধরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, আগামীতেও সেই বার্তা জনগণ দেবে।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে দেড় হাজার শহীদ ও ৪০ হাজার আহতের কথা উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি দেব প্রসাদ মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল খায়ের, শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন, শরাফপুর সর্বজনীন পূজা মন্দিরের গোঁসাই সাধু প্রমথ গাইন, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহসভাপতি হরিদাস মন্ডল, কানাই লাল কর্মকার ও প্রশান্ত কুমার মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, মাগুরখালী ইউনিয়ন সহসভাপতি সুজিৎ কুমার সরকার, ধামালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুন্ডু, রুদাঘয়া ইউনিয়ন সভাপতি বিপ্লব সরকার, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, খর্ণিয়া ইউনিয়ন সভাপতি নারায়ণ রাহা, মাগুরঘোনা ইউনিয়ন সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, সাহস ইউনিয়ন সভাপতি তন্ময় মন্ডল, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি নিরঞ্জন রায়, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি তরুন কুমার মন্ডল, শোভনা ইউনিয়ন হিন্দু কমিটির মহিলা সম্পাদক প্রিয়ংকা মন্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, আটলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অনিমেষ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি স্বদেশ হালদার, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অরুন কুমার আচার্য প্রমুখ।

হিন্দু সম্মেলন ঘিরে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বর্ণিল মিছিল এসে জমায়েত হয়। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল ডুমুরিয়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

হিন্দু সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ারকে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মতুয়া সংঘের সভাপতি সুদীপ্ত কুমার সুন্দর মন্ডল বলেন, ‘আমরা আর সংখ্যালঘু বলে পরিচয় শুনতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। স্বাধীনতার পর কোনো সরকার হিন্দুদের দাবিতে কাজ করেনি। এবার প্রমাণ হবে, হিন্দু মানেই একটি নির্দিষ্ট দল নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রদলের কমিটি নেই ১৪ মাস, স্থবির কার্যক্রম
  • মামলায় ঝুলে গেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন
  • গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
  • সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি
  • হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার