১৯৯২ সালে সমাজের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। হাঁটি হাঁটি পা করে দীর্ঘ ৩৩ বছর সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদান রেখে আসছে সংগঠনটি। শিক্ষা, সংস্কৃতি স্বেচ্ছাসেবী কাজসহ দুর্যোগকালে সংগঠনের সদস্যরা ছুটে যান মানবিক কাজে। ৩২ পেরিয়ে ৩৩-এ পা দিল দৃষ্টি চট্টগ্রাম। দীর্ঘ এ পথচলায় ত্যাগ, সংগ্রাম, পাওয়া না পাওয়ার গল্প নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান। নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানে মিলিত হন সংগঠনের উপদেষ্টা, সংগঠক, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, দৃষ্টি ডিবেট ক্লাবের চেয়ারম্যান সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সচিব, কবি অভিক ওসমান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক, কবি ওমর কায়সার, শিক্ষাবিদ মুজিব রাহমান, সাংবাদিক ডেইজি মউদুদ, শাহনেওয়াজ রিটন, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি বৃজেট ডায়েস, দৈনিক সমকালের সিনিয়র সহসম্পাদক ও লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি কশসাফুল হক শেহজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.
অনুষ্ঠানের শুরুতে দৃষ্টি চট্টগ্রামের ৪ জন সংগঠক মাইনুল ইসলাম সোহেল, সৌমেন চৌধুরী, রেজা চৌধুরী ও আশরাফ শাহদাত সায়মনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরসরাই উপজেলার মধ্যম নাহেরপুর ৪নং ধুম ইউনিয়নের একজন গরিব বর্গাচাষিকে একটা পানির পাম্প উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন– দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সিনিয়র সহসভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক তানভীর আল জাবের, আবৃত্তি সম্পাদক সাদিয়া আফরিন, বিতর্ক সম্পাদক হোসাইন সামী, সদস্য অলক নাথ, অ্যাডভোকেট আবু সাইম, আরাফাত অভী, ইতু দত্ত, হাসান মাহাদী, ইয়াসিন শাকিব, জুনায়েদ আসাদ, আরাফাত কবির।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স গঠন অন ষ ঠ ন স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।
সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।
সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।