Samakal:
2025-09-18@02:40:37 GMT

তেত্রিশে পা দৃষ্টির

Published: 12th, April 2025 GMT

তেত্রিশে পা দৃষ্টির

১৯৯২ সালে সমাজের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। হাঁটি হাঁটি পা করে দীর্ঘ ৩৩ বছর সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদান রেখে আসছে সংগঠনটি। শিক্ষা, সংস্কৃতি স্বেচ্ছাসেবী কাজসহ দুর্যোগকালে সংগঠনের সদস্যরা ছুটে যান মানবিক কাজে। ৩২ পেরিয়ে ৩৩-এ পা দিল দৃষ্টি চট্টগ্রাম। দীর্ঘ এ পথচলায় ত্যাগ, সংগ্রাম, পাওয়া না পাওয়ার গল্প নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান। নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানে মিলিত হন সংগঠনের উপদেষ্টা, সংগঠক, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, দৃষ্টি ডিবেট ক্লাবের চেয়ারম্যান সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সচিব, কবি অভিক ওসমান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক, কবি ওমর কায়সার, শিক্ষাবিদ মুজিব রাহমান, সাংবাদিক ডেইজি মউদুদ, শাহনেওয়াজ রিটন, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি বৃজেট ডায়েস, দৈনিক সমকালের সিনিয়র সহসম্পাদক ও লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি কশসাফুল হক শেহজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.

আদনান মান্নান, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি ফারুক তাহের, মুজাহিদুল ইসলাম, প্রণব চৌধুরী, জাবেদ হোসেন, ইয়াসির সিল্মী, মিথিলা আফরিন, মোহাম্মদ তাজ। 
অনুষ্ঠানের শুরুতে দৃষ্টি চট্টগ্রামের ৪ জন সংগঠক মাইনুল ইসলাম সোহেল, সৌমেন চৌধুরী, রেজা চৌধুরী ও আশরাফ শাহদাত সায়মনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরসরাই উপজেলার মধ্যম নাহেরপুর ৪নং ধুম ইউনিয়নের একজন গরিব বর্গাচাষিকে একটা পানির পাম্প উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন– দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সিনিয়র সহসভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক তানভীর আল জাবের, আবৃত্তি সম্পাদক সাদিয়া আফরিন, বিতর্ক সম্পাদক হোসাইন সামী, সদস্য অলক নাথ, অ্যাডভোকেট আবু সাইম, আরাফাত অভী, ইতু দত্ত, হাসান মাহাদী, ইয়াসিন শাকিব, জুনায়েদ আসাদ, আরাফাত কবির।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন অন ষ ঠ ন স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের