আইপিএলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা নতুন কিছু নয় অভিষেক শর্মার জন্য। তবে শনিবার রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে যেন পুরোনো রূপেই ফিরলেন এই তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। মাত্র ৫৫ বলে গড়া ১৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও গড়েছেন নতুন ইতিহাস।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে অভিষেকের ১৪১ রানের ইনিংসটি আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল লোকেশ রাহুলের, যিনি ১৩২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সবমিলিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে অভিষেকের ইনিংসটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। তালিকায় তার উপরে আছেন কেবল ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (১৫৮*) ও ক্রিস গেইল (১৭৫*)।

এদিন অভিষেক তুলে নিয়েছেন হায়দরাবাদের হয়েও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগের সেরা ইনিংস ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৬ রান। ১৪টি চার ও ১০টি ছক্কায় সাজানো অভিষেকের ইনিংস থেকে এসেছে ১১৬ রান বাউন্ডারি থেকে, যা হায়দরাবাদের পক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। এই দিক দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন জনি বেয়ারস্টোর ৯০ রানের পুরনো রেকর্ড। একইসঙ্গে অভিষেক হায়দরাবাদের জার্সিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন। তার ১০ ছক্কা ছাপিয়ে গেছে ওয়ার্নারের ৮ ছক্কার রেকর্ড।

ম্যাচটিও আইপিএলের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব মিলিয়ে মোট রান হয়েছে ৪৯২, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ষষ্ঠ। পাশাপাশি দুই দলের লড়াইয়ে এটিই সর্বোচ্চ রান।

২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, যা আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। শীর্ষে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংসের করা ২৬২ রান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ র র র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ