নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
Published: 13th, April 2025 GMT
রীনা দত্ত ও কিরণ রাও আজ আমির খানের জীবনে অতীত। গত মাসেই নতুন প্রেমের কথা জানিয়েছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট নিজেই। নতুন প্রেমিকা গৌরীর সঙ্গে সবার আলাপও করিয়ে দেন তিনি। আপাতত প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন আমির। এবার চীনের একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেল নতুন জুটিকে।
গত শনিবার ম্যাকাও ইন্টারন্যাশনাল কমেডি অনুষ্ঠানে যোগ দেন আমির। ওই অনুষ্ঠানের এক ঝলক এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন আমিরের এক ভক্ত।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গায়ে কালো রঙের শাল জড়ানো আমিরের। গৌরীর পরনে ছিল শাড়ি। দু’জনে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে গৌরীর হাত ধরে দাঁড় করান আমির। হাসিমুখে চীনের অভিনেতা শেং টেং এবং মা লি-র সঙ্গে এই জুটিতে ছবিও তোলেন।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা গৌরী। এক সন্তানের মা। আমির খানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ২৫ বছরের। মাঝে অবশ্য বেশ কয়েক বছর যোগাযোগ ছিল না আমির ও গৌরীর। রীনা এবং কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের যোগাযোগ। বছর দেড়েক আগে মন দেওয়া নেওয়া।
প্রথমে আমির ও গৌরীর সম্পর্কের কথা জানতে পারেননি কেউ। ৬০ তম জন্মদিনে সব লুকোছাপা শেষ। কেক কাটার অনুষ্ঠানে নাকি সকলের সঙ্গে গৌরীর পরিচয় করান আমির। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন অন ষ ঠ ন ন আম র
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু