পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসব। যুগ যুগ ধরেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য আনন্দ উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের মানুষ। নতুন বছরে লাল–সাদা শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরা, ইলিশ–পান্তা খাওয়া, রমনায় ‘এসো হে বৈশাখ…’ গানের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া দেশের ঐতিহ্যের অংশ। এ রকম বিশেষ উৎসবের দিনগুলোতে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে উপহার পেতে কে না পছন্দ করেন? মা–বাবার জন্য, স্ত্রী বা স্বামী বা সন্তানকে বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু উপহার দিলে তাঁদের খুশি উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নতুন কাপড়, জামা–জুতাই উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু যাঁরা একটু ভিন্ন কিছু পছন্দ করেন, তাঁদের খুশি করতে কী উপহার দেওয়া যায়? কেমন হয় যদি আমরা বৈশাখের খুশিতে প্রিয়জনকে ব্র্যান্ডের ঘড়ি দিই উপহার হিসেবে? ব্র্যান্ডের ঘড়ি এমন একটি জিনিস, যা যেকোনো মানুষই পছন্দ করবেন। কারণ, একটি ভালো মানের ঘড়ি মানুষের সৌন্দর্যকে আভিজাত্যপূর্ণ করে তুলে তাঁর ব্যক্তিত্বে নতুন মাত্রা যোগ করে। এটি জামাকাপড় বা অন্য যেকোনো উপহারের চেয়ে নিঃসন্দেহে বেশি প্রয়োজনীয় ও দীর্ঘস্থায়ী।

ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি হাতে পরে নতুন বছর শুরু করা হতে পারে আপনার পরিবারের এক নতুন ঐতিহ্য। এটি এমন এক উপহার, যা আপনার মা, বাবা, স্ত্রী, বন্ধু বা যেকোনো প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে দিলে তাঁদের উৎসবের খুশি দ্বিগুণ হতে বাধ্য।

ভাবছেন কোথায় পাবেন ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি? এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে টাইম জোন–এর বিভিন্ন শাখায় বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডের সব ঘড়ি। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বাজেটের মধ্যে সব বয়সী মানুষের জন্য মানানসই ব্র্যান্ড। যেমন আপনি যদি আপনার স্ত্রী বা মা-বোনের জন্য ঘড়ি নিতে চান, এখানে পাবেন নারীদের ব্র্যান্ড টাইটান বা সোনাটা ব্র্যান্ডের ঘড়ি। আবার পুরুষদের জন্য মাঝারি বাজেটের (১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা) মধ্যে পাবেন ফসিল, টমি হিলফিগার, রোম্যানসন, ক্রিডেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড। বাজেট আরেকটু বেশি হলে (৭০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা) হলে পেয়ে যাবেন টিসট, লনজিন্স বা রাডোর মতো নামকরা ব্র্যান্ড।

যে ব্র্যান্ডের ঘড়িই কিনুন না কেন, টাইম জোনের পক্ষ থেকে পাবেন প্রয়োজনীয় ওয়ারেন্টি ও গ্যারান্টি, যাতে নিশ্চিন্ত মনে ব্যবহার করতে পারেন পছন্দের ব্র্যান্ডের ঘড়িটি। তাই গতানুগতিক উপহারের বাইরে ভিন্নতা আনতে চাইলে ঘড়ি হতে পারে আপনার প্রিয়জনের জন্য এবারের নতুন বছরের সেরা উপহার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য উপহ র আপন র পছন দ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’

হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’

কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।

এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ