সূর্যোদয়ের পর রমনা বটমূলে মানুষের ভিড়, গানে গানে বর্ষবরণ
Published: 14th, April 2025 GMT
সূর্যোদয়ের পর থেকে রাজধানীর রমনা বটমূলে চলছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। সময় যত গড়িয়েছে, ততই ভিড় বাড়তে দেখা গেছে অনুষ্ঠানস্থলে।
ভোর সোয়া ছয়টায় রমনা বটমূলে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপের মাধ্যমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বহু মানুষ বটমূলে উপস্থিত হয়।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। এরপর ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত।
এভাবে একের পর এক রাগালাপ, গান আর আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নববর্ষকে। সব দর্শনার্থী যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো এ আয়োজন উপভোগ করছেন। মঞ্চের সামনের বসার জায়গা মানুষে পূর্ণ। অনেকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছেন। পার্কের ভেতরেও অনেক মানুষ রয়েছেন।
অনুষ্ঠানস্থলে কথা হলো রোকসানা আহমেদের সঙ্গে। তিনি থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। জানালেন, এবার দেশে থাকায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর তিনি রমনা বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে আসতে পেরেছেন। তাই উচ্ছ্বাসটাও বেশি।
রোকসানা বলেন, ‘প্রবাসী হওয়ার পর যখনই দেশে আসি, বৈশাখ পাই না। আড়াই যুগ পর এবার সেই সুযোগ হলো। সকালবেলা বটমূলের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখতে পেয়ে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।’
এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনা বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।