ছয় নারী মহাকাশ ভ্রমণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্রু মিশনে তারা মহাকাশ ঘুরে আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এই ঘটনা মহাকাশ পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবিসি লিখেছে, জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিন-এর তৈরি সাব-অরবিটাল রকেটে করে ছয় নারী মহাকাশ ভ্রমণ করে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন পপ শিল্পী কেটি পেরি। মহাকাশে পৌঁছে তিনি গান গেয়ে শোনান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাসের ‘লঞ্চ সাইট ওয়ান’ থেকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্বচালিত একটি রকেটে চেপে মহাকাশ ভ্রমণ শুরু করেন ছয় নারী। অবশ্য বেশিক্ষণ তারা সেখানে থাকেননি; মাত্র ১০ মিনিটের মহাকাশ ভ্রমণ। তারপরই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

আরো পড়ুন:

৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড

আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন

মহাশূন্যে পৌঁছে তিন মিনিট তারা ওজনহীনভাবে ভেসে বেড়ান। ক্যাপসুলের জানালা দিয়ে উপভোগ করেন পৃথিবীর অবারিত সৌন্দর্য। এরপর তিনটি প্যারাসুট ব্যবহার করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা।

যে ছয়জন মহাকাশ ভ্রমণ করে এলেন, তারা সবাই পশ্চিমা বিশ্বে বেশ পরিচিত মুখ।

বিবিসি তথ্য অনুযায়ী, পপ তারকা কেটি পেরি, লেখক ও বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক গেইল কিং, নাগরিক অধিকারকর্মী আমান্ডা এনগুয়েন, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়িশা বোয়ে এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কেরিয়ান ফ্লিন এই ভ্রমণ দলের সদস্য।

সানচেজ ছিলেন এই মিশনের নেতৃত্বে, যিনি রকেট উৎক্ষেপণের আগে বলেছিলেন, জেফ বেজোস তাকে বলেছেন এই মহাকাশ ভ্রমণের পর তার জীবন বদলে যাবে।

১৯৬৩ সালে রাশিয়ার নভোচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা একক মিশনে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তবে তার ভ্রমণ সময় ছিল প্রায় তিন দিন; ৭০ ঘণ্টারও বেশি।

 

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ