প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা, ঝলসে দেওয়া হয় মুখ
Published: 15th, April 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের এক দিন পর আকলিমা আক্তার জুঁই নামে (৭) এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পাবনার চাটমোহরে পাটক্ষেতে মুখ ঝলসানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
আকলিমা আক্তার জুঁই বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্বজনরা জানায়, সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় আকলিমা আক্তার জুঁই। এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর এলাকায় পাটক্ষেতের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা ধর্ষণসহ শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখ ঝলছে দেওয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, জুঁইয়ের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। মৃতদেহ চাটমোহরে পাওয়া গেছে। তাই মামলাটি সেখানকার থানায় লিপিবদ্ধ হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।