গাজীপুরের শ্রীপুরে রিসোর্টের লেকে গোসল করতে নেমে আরিয়ান স্বপ্নীল (১৪) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলের দিকে প্রহলাদপুর ইউনিয়নের গজারিতলা গ্ৰামে ফ্যামিলি মার্টের মালিকানাধীন রিসোর্টের লেক থেকে স্বপ্নীলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টায় লেকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় স্বপ্নীল।

নিহত আরিয়ান স্বপ্নীল গাজীপুর সদর উপজেলার হারিনাল গ্ৰামের মো.

রাসেলের ছেলে। সে তার বাড়ির স্থানীয় একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শ্রীপুরের প্রহলাদপুর এলাকায় খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পাশের ফ্যামিলি মার্ট রিসোর্টের লেকে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

আরিয়ান স্বপ্নীলের বাবা মো. রাসেল বলেন, “তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে প্রহলাদপুর ইউনিয়নের গজারিতলা গ্ৰামে ফ্যামিলি মার্টের মালিকানাধীন লেকের পানিতে সাঁতার কাটতে নেমেছিল। ছোট ছেলেকে নিয়ে সাঁতার কাটার সময় বড় ছেলে আরিয়ান স্বপ্নীল ফুটবল নিয়ে লেকে নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে সে পানিতে তলিয়ে যায়।”

স্বপ্নীলের চাচি ফারজানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এখানে অবহেলা করেছেন। তাদের উচিত ছিল তদারকি করা। এর দায় তারা এড়াতে পারেন না।”

অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে ফ্যামিলি মার্টের প্রতিষ্ঠাতা মো. খোকন বলেন, “পার্কটি এখনো নির্মাণাধীন থাকায় সেখান কোনো তদারকির ব্যবস্থা করা হয়নি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। লোকজন ইচ্ছেমতো নেমে সাঁতার কাটে।”

গাজীপুরের টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের দলনেতা মো. ইদ্রিস বলেন, “খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে বিকেল ৪টার দিকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।”

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ