চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার
Published: 16th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী রাসেল মৃধা।
অভিযোগে বলা হয়, রাসেল মৃধা মির্জাগঞ্জে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু ভরাটের ব্যবসা করেন। আগে বিএনপি নেতা জুয়েলকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দিয়েছেন তিনি। প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ দিলে অপারগতা প্রকাশ করেন রাসেল। গত রোববার সুলতানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের সময় লোকজন নিয়ে জুয়েল ৫০ হাজার টাকা না দিলে কাজ বন্ধের হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় রাসেলের পথরোধ করে টাকা না দিয়ে কেন কাজ করছে– তার ব্যাখ্যা চান জুয়েল। এ সময় চাঁদা দিতে পারবেন না জানালে জুয়েল ও তাঁর সহযোগীরা রাসেলকে চড়থাপ্পড়, কিলঘুসি মারেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে জুয়েল চাঁদা ছাড়া ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না হুমকি দিয়ে চলে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জুয়েল বলেন, ‘রাসেল দালাল ও চাঁদাবাজ। মাদক সিন্ডিকেটেও জড়িত। আমার ড্রেজার ব্যবসা আছে। সেখানে রাসেলই চাঁদা দাবি করেছিল। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছে।’
জুয়েল উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নুর ভাগনে। জানতে চাইলে নান্নু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর তদন্ত হচ্ছে। দলে ভাই-ভাগনে বিষয় নয়; অপরাধ প্রমাণিত হলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্রদল নেতার চাঁদা দাবির অডিও ভাইরালকছড়িতে
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় এক বালু ব্যবসায়ীর কাছে গাড়িপ্রতি ৫০০ টাকা দাবি করার অডিও ভাইরাল হয়েছে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পরে গত শনিবার তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল।
ভাইরাল অডিওটি নিজের নয় দাবি করে একরাম চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক অবস্থান ভালো হওয়ায় একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি থানায় জিডি করেছি।’ যথাসময়ে শোকজের লিখিত জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর ব যবস য় উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম