জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণের জন্য আরডিপি অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী সপ্তাহে। এরপর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ হব।”

তিনি আরো বলেন, “আবাসন ভাতা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জকসু নির্বাচন বিষয়ে খসড়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এটি প্রস্তুত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসির অনুমোদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন।”

সমাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উপাচার্য জানিয়েছেন পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় সমাবর্তন আলোচনা হবে, সম্ভাব্য সময় ডিসেম্বর বা জানুয়ারি। ১৫ জুলাইয়ের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাশিদুল ইসলাম, রিয়ানুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ