চলতি মৌসুমের আইপিএল শুরু হয়েছে ২৯ মার্চ। কিন্তু ১৩ এপ্রিল থেকে হুট করে ‘ব্যাট টেম্পারিং’ নিয়ে সরব হয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। বেশি লম্বা, চওড়া ও ভারি ব্যাট নিয়ে খেলার অভিযোগে কয়েক জনের ব্যাটও বাতিল করেছেন আম্পায়াররা। 

কেন এই কড়াকড়ি: ব্যাট টেম্পারিং নিয়ে আইপিএলে কড়াকড়ি শুরু হলেও আইপিএল কর্তৃপক্ষ কিংবা বিসিসিআই কোন বিবৃতি বা ব্যাখা এ বিষয়ে দেয়নি। তবে সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফো দাবি করেছে, আইপিএল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য আম্পায়াররা ব্যাট পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। 

পূর্বের নিয়ম বাদ: আইপিএলের গত মৌসুমেও ব্যাট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত বছর চতুর্থ আম্পায়ার ম্যাচ শুরুর আগের দিন ব্যাটারদের ব্যবহৃত ব্যাট গেজ দিয়ে পরীক্ষা করতেন। কিন্তু এতেও সন্দেহ থেকে যায়। ব্যাটাররা এক ব্যাট পরীক্ষা করিয়ে অন্য ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমেছেন এমন অভিযোগ ওঠে। এবার তাই সন্দেহ হওয়া সাপেক্ষে মাঠে থাকা আম্পায়ার ‘ব্যাট টেম্পারিং’ হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন। 

ব্যাটের সাইজ কেমন হতে হবে: ব্যাটের সাইজের ক্ষেত্রে পুরুত্ব ৪ সেন্টিমিটার বা ১.

৫৬ ইঞ্চি হবে। গভীরতা সর্বোচ্চ ৬.৭ সেন্টিমিটার বা ২.৬৪ ইঞ্চি এবং চওড়া হতে পারবে ১০.৮ সেন্টিমিটার বা ৪.২৫ ইঞ্চি। 

ব্যাট সাইজ সম্পর্কে আইন কী বলে: ব্যাট মাপার ক্ষেত্রে এমসিসির ল ৫ অনুসরণ করা হচ্ছে। এমসিজি উপরে উল্লেখিত ব্যাটের সাইজ হতে হবে বলে উল্লেখ করেছে। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ঘরোয়া ক্রিকেটে এটি চালু করে।      

গেজ কীভাবে কাজ করে: ব্যাট টেম্পারিং মাপার জন্য একটি গেজ তৈরি করা হয়েছে। গেজটি ব্যাটের সর্বোচ্চ সাইজের মাপে তৈরি করা। কোন ব্যাটারের ব্যাট নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে এই গেজের মধ্যে তার ব্যাট প্রবেশ করানো হয়। গেজের মুখে ব্যাট আটকে গেলে ব্যাট টেম্পারিং ধরা পড়ে। প্রতিটি দলকে এই গেজ সরবরাহ করা হয়েছে। যাতে ব্যাট মেপে তারা মাঠে নামতে পারেন। এরপরই সন্দেহ হলে আম্পায়ার ব্যাট মাপবেন।

ব্যাট টেম্পারিংয়ে সাজা: কোন ব্যাটার ব্যাট টেম্পারিং করলে আপাতত কোন সাজার মুখে তাকে পড়তে হচ্ছে না। কেবল মাত্র ওই ব্যাট দিয়ে খেলার অনুমতি হারাবেন ওই ব্যাটার।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম প য় র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত শান্ত (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

শনিবার (১৩‌ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জামালপুর সীমান্ত পিলার ১৫২/৭ এস মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের নিউ উদয় ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ হস্তান্তর করেন।

শান্ত উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে শান্ত ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে জামালপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রায় ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের নিউ উদয় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে যান সঙ্গে থাকা সদস্যরা। আহতাবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে শনিবার বিকেলে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের পক্ষ থেকে শান্তর লাশ হস্তান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ