দুর্দান্ত কামব্যাকে ইউরোপা লিগের সেমিতে ম্যানইউ
Published: 18th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ভিলা পার্কে কামব্যাক করেছিল অ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু পিএসজির বিপক্ষে ওই কামব্যাকে সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। ইদুনা পার্কে বার্সার বিপক্ষে ব্যর্থ কামব্যাক করেছে ডর্টমুন্ডও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ‘কামব্যাক, কামব্যাক’ করে মুখে ফেনা তুললেও ঘটেছে উল্টো ঘটনা। সান সিরোতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখও।
তবে ইউরোপা লিগে লিঁও’র বিপক্ষে দুর্দান্ত এক কামব্যাক করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে আবার তা ছেড়ে দেয় রুবেন আমোরিমের দল। যোগ করা সময়ে হারের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। সেখান থেকে শেষ বাঁশির আগে ৫-৪ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ম্যানইউ। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের জয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেছে।
প্রথম লেগে ম্যানইউ ও লিঁও ২-২ গোলের সমতা করেছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে ম্যাচের ১০ মিনিটে লিড নেয় ম্যানইউ। গোল করেন ম্যানুয়েল উগার্টে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডার ডিয়াগো ডালট দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ ও ৭৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ফ্রান্স ক্লাব লিঁও।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ সমতায় থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ১০৫ মিনিটে ছের্কি ও ১১০ মিনিটে লাকাজেত্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন এবং সেমির টিকিট একপ্রকার হাতে নিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরেই ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানইউ। ১১৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে যে যাত্রার শুরু করে।
এরপর ১২০ মিনিটে গোল করেন তরুণ ম্যানইউ মিডফিল্ডার কোবি মাইনো। এক মিনিট পরেই আরেক ইংলিশ ফুটবলার হ্যারি মাগুইরে জালে বল পাঠিয়ে ম্যানইউ-এর কামব্যাক সম্পন্ন করেন। ইউরোপা লিগে তো বটেই যেটাকে ম্যানইউ-এর অন্যতম সেরা কামব্যাক বলা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক মব য ক ম য নইউ গ ল কর ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।