জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। গ্রুপ ‘সি’তে মিয়ানমার ছাড়া বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান। বড় আসরে লড়াইয়ের আগে নিজেদের অবস্থান বোঝার জন্য প্রথমে শক্তিশালী কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসের ফিফা উইন্ডোতে জর্ডানে ট্রাই নেশন্স সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়া অন্য দলটি হলো ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ হবে ৩১ মে এবং ৩ জুন। কোন দিন কোন প্রতিপক্ষ, সেটা এখনও নির্ধারণ হয়নি। তিন দল খেললেও সেখানে কোনো ট্রফি দেওয়া হবে না। ট্রাই নেশন্স খেলতে ২৭ মে ঢাকা ছাড়ার কথা বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব সামনে রেখে অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো দেশের সঙ্গে ফিফা ফ্রেন্ডলি বা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাচ্ছি আমরা। জর্ডান আমাদের ২৯ মে থেকে আতিথেয়তা দিতে পারবে। পিটার (কোচ পিটার বাটলার) আমাকে বলেছেন দু’দিন আগে যেতে পারলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। কোচের সঙ্গে কথা বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৭ মে দল পাঠাব। তিন দিন ওখানে অনুশীলন হবে।’

র‍্যাঙ্কিংয়ে জর্ডান ৭৪ এবং ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ৯৪তম। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি সারতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বর্তমানে সিনিয়র ১০ নারী ফুটবলার আছেন ভুটানে। জাতীয় দলের বাকিরা দেশে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অতীতে অনেক দেশে খেলার প্রস্তাব পেলেও বাফুফে ছাড়পত্র দেয়নি মেয়েদের।

এশিয়ান কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগে ভুটানের মতো দেশের লিগে এবার সাবিনাদের অনুমতি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে কিরণের ব্যাখ্যা, ‘সাবিনাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম। সাবিনা বলেছে পারোতে (সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মনিকা ও সুমাইয়ার ক্লাব) ভালো মানের ট্রেনিং হবে। তারা অনুশীলনে থেকে ফিটই থাকবে। বিশেষ করে পারো মেয়েদের জন্য খানিকটা মানসিক স্বস্তিরও। মেয়েরা একটা অবস্থানের (কোচের সঙ্গে বিদ্রোহ) মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের একটা মেন্টাল রিক্রিয়েশনের দরকার ছিল। ওরা বলেছে আমরা যদি ভুটানে খেলি, তাহলে আমাদের অবস্থাটা আরও ভালো হবে। আমরা ভালোভাবে ফিরতে পারব। মেন্টালি যদি আপনি ভালো না থাকেন, তাহলে কিন্তু কোথাও কোনো কিছু করতে পারবেন না। এই দিক বিবেচনা করলে আমি মনে করি মেয়েদের ভুটান লিগে খেলার অনুমতি দেওয়াটা সঠিক।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল প রস ত ত র জন য অবস থ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’

শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু রেফারির সেই এক সিদ্ধান্তেই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাই যত আলোচনা রেফারি ক্লিফোর্ড দায়পুয়াতকে ঘিরেই।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব ডিবক্সে ফাউল করেছিলেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ফাহিম পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির আবেদন করে বাংলাদেশ দল। তবে বাঁশি বাজাননি দায়পুয়াত।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় রেফারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড়। এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে সিদ্ধান্তকে ঘিরে দায়পুয়াত ও তার স্ত্রী কেসা রুথকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে, শেষমেশ নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে দিতে বাধ্য হন তারা। বর্তমানে ফেসবুকে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দুজনের প্রোফাইলই লক করা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সমালোচনার মাত্রা সহনীয় না হওয়ায়ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারি ও তার স্ত্রী।

মাত্র ২০ বছর বয়সে রেফারিং শুরু করেছিলেন ক্লিফোর্ড দায়পুয়াত। ২০১৯ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইরাক-কম্বোডিয়ার ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে। এরপর ২০২১ সালের এএফসি কাপেও ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে এমনভাবে এর আগে কখনও আসেননি।

এই ম্যাচের পর ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলেও হালকা নড়চড়। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর ও হংকং। আর ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’