ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে নারী ফুটবলার, কবে-কোথায়
Published: 18th, April 2025 GMT
জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। গ্রুপ ‘সি’তে মিয়ানমার ছাড়া বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান। বড় আসরে লড়াইয়ের আগে নিজেদের অবস্থান বোঝার জন্য প্রথমে শক্তিশালী কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসের ফিফা উইন্ডোতে জর্ডানে ট্রাই নেশন্স সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়া অন্য দলটি হলো ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ হবে ৩১ মে এবং ৩ জুন। কোন দিন কোন প্রতিপক্ষ, সেটা এখনও নির্ধারণ হয়নি। তিন দল খেললেও সেখানে কোনো ট্রফি দেওয়া হবে না। ট্রাই নেশন্স খেলতে ২৭ মে ঢাকা ছাড়ার কথা বাংলাদেশ নারী দলের।
বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব সামনে রেখে অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো দেশের সঙ্গে ফিফা ফ্রেন্ডলি বা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাচ্ছি আমরা। জর্ডান আমাদের ২৯ মে থেকে আতিথেয়তা দিতে পারবে। পিটার (কোচ পিটার বাটলার) আমাকে বলেছেন দু’দিন আগে যেতে পারলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। কোচের সঙ্গে কথা বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৭ মে দল পাঠাব। তিন দিন ওখানে অনুশীলন হবে।’
র্যাঙ্কিংয়ে জর্ডান ৭৪ এবং ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ৯৪তম। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি সারতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বর্তমানে সিনিয়র ১০ নারী ফুটবলার আছেন ভুটানে। জাতীয় দলের বাকিরা দেশে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অতীতে অনেক দেশে খেলার প্রস্তাব পেলেও বাফুফে ছাড়পত্র দেয়নি মেয়েদের।
এশিয়ান কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগে ভুটানের মতো দেশের লিগে এবার সাবিনাদের অনুমতি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে কিরণের ব্যাখ্যা, ‘সাবিনাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম। সাবিনা বলেছে পারোতে (সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মনিকা ও সুমাইয়ার ক্লাব) ভালো মানের ট্রেনিং হবে। তারা অনুশীলনে থেকে ফিটই থাকবে। বিশেষ করে পারো মেয়েদের জন্য খানিকটা মানসিক স্বস্তিরও। মেয়েরা একটা অবস্থানের (কোচের সঙ্গে বিদ্রোহ) মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের একটা মেন্টাল রিক্রিয়েশনের দরকার ছিল। ওরা বলেছে আমরা যদি ভুটানে খেলি, তাহলে আমাদের অবস্থাটা আরও ভালো হবে। আমরা ভালোভাবে ফিরতে পারব। মেন্টালি যদি আপনি ভালো না থাকেন, তাহলে কিন্তু কোথাও কোনো কিছু করতে পারবেন না। এই দিক বিবেচনা করলে আমি মনে করি মেয়েদের ভুটান লিগে খেলার অনুমতি দেওয়াটা সঠিক।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল প রস ত ত র জন য অবস থ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন