ফজর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শয়তানের বিরুদ্ধে প্রথম জয়লাভ করে বিশ্বাসীরা। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায়, তখন তার ঘাড়ে শয়তান তিনটি করে গিঁট বেঁধে দেয়; প্রতিটি গিঁটে সে এই মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।’ তথাপি যদি সে জেগে আল্লাহর জিকির করে, তা হলে একটা গিঁট খোলে। যদি অজু করে, তাহলে আরেকটা খোলে। যদি নামাজ পড়ে, তা হলে বাকিটা মানে সবগুলো খুলে যায়। তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। অন্যথায় সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ১,১৪২)

ফজর নামাজের জন্য জেগে ওঠা অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে মুমিনরা সে-কষ্ট জয় করে নেয়, এবং মুনাফিকরা হেরে যায়। মহানবী (সা.

) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ইশার নামাজের চেয়ে কষ্টকর আর কিছু নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৪৪)

আরও পড়ুনজীবনে একবার হলেও যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি (সা.)১৩ মার্চ ২০২৫

তিনি আরও বলেছেন, ‘মানুষ যদি ফজর ও ইশার নামাজের গুরুত্ব বুঝতে পারত, তা হলে তারা হামা গুঁড়ি দিয়ে হলেও উভয় নামাজে উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৭)

 তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর দায়িত্বে চলে গেল। (তিরমিজি, হাদিস: ২,১৮৪)

 আবু জুহাইর উমারা ইবনে রুয়াইবা (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে (ফজর ও আসরের ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৩৪)

 আল্লাহ ফজরের নামাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন । ‘ফজর’ নামে কোরআনে পূর্ণাঙ্গ একটা সুরা নাজিল করেছেন । আল্লাহ সেখানে শপথ করে বলেন, ‘শপথ উষার!’ (সুরা ফজর, আয়াত: ১)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান বরকতপূর্ণ রব দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তারপর তিনি হাত বাড়িয়ে দেন এবং বলেন, কে আছে যে এমন সত্তাকে ঋণ দেবে, যিনি অভাবী নন; অত্যাচারীও নন। সকাল পর্যন্ত এ কথা বলতে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)

আরও পড়ুননামাজ: দাসের মহিমা০৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফজর ন ম জ বল ছ ন আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ