গাজায় হামলা ও ভারতে ওয়াক্ফ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জমিয়তের
Published: 18th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল পাস ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে দলটি।
বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান অতিথি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, ‘৬ সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের সীমানায় কোনো ধরনের সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গত এক মাসে পাঁচ লাখ গাজাবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বোঝা যায়, এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোড়া। এই বিষফোড়াকে নির্মূল করতেই হবে।’ ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল আইন বাতিল করার আহ্বান জানান আফেন্দি।
কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদওয়ান মাযহারি বলেন, ‘ইসরায়েল ও আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, গাজা এবং রাফাকে খালি করে ইহুদিবাদের উর্বর ভূমি বানানোর যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তা হবে না।’
সমাবেশে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি, মকবুল হোসাইন কাসেমীসহ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।