নাহিদ রানার চেয়ে জোরে বল করে বোলিং মেশিন—উইলিয়ামসের খোঁচা
Published: 18th, April 2025 GMT
বৃষ্টির কারণে গতকাল অনুশীলন শুরু হয়েছিল দেরিতে। শুরু হওয়ার পর আবার মাঝপথে হানা দেয় বৃষ্টি। ব্যাট–বল নিয়ে দৌড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের। বৃষ্টির বাধায় এরপর আর অনুশীলনই করতে পারেনি তারা। টেস্ট শুরুর দুই দিন আগে এমন পরিস্থিতি কোনো দলেরই ভালো লাগার কথা নয়। তবে জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস বলছেন, তিনি নাকি বৃষ্টিটা উপভোগই করেছেন!
আগামী পরশু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্ট। এর আগে আজ জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা উইলিয়ামসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিলেটে তাঁদের প্রস্তুতি নিয়ে। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পা রেখে পরদিনই সিলেটে চলে যায় জিম্বাবুয়ে দল। দুই টেস্টের সিরিজের আগে এমনিতেই কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না দলটা, তার ওপর অনুশীলনে বৃষ্টির ওই বাধা।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবার চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস
সাময়িক বরখাস্তের পর এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’–এর কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই দণ্ড কার্যকর হবে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন তথ্য ও অভিযোগ উল্লেখ করে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে যোগদানও করেন। তাঁর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ায় তাঁর আদেশ প্রত্যাহার বা বাতিলের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি গত বছরের ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এরপর তাঁকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি। অর্থাৎ তিনি গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এখনো বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে ‘পলায়ন’–এর পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।
ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলা রুজু হওয়াসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া, তদন্ত বোর্ড গঠন ও সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের কথা তুলে ধরা হয় প্রজ্ঞাপনে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ‘চাকরি থেকে বরখাস্ত’ করার দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে, বরখাস্ত হওয়া যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস গতকাল রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অবৈধ ইউনূস সরকার আমাকে নাকি বরখাস্ত করছে! আজ থেকে আমি মুক্ত, স্বাধীন। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে এমন অথর্ব সরকারের অধীনে আমাকে একদিনও চাকরি করতে হয়নি। থ্রি চিয়ার্স ফর “মোখলেসীয় সিভিল সার্ভিস”।’
আরও পড়ুনতিন সচিবসহ যেসব কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো বাধ্যতামূলক অবসরে২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫