বৃষ্টির কারণে গতকাল অনুশীলন শুরু হয়েছিল দেরিতে। শুরু হওয়ার পর আবার মাঝপথে হানা দেয় বৃষ্টি। ব্যাট–বল নিয়ে দৌড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের। বৃষ্টির বাধায় এরপর আর অনুশীলনই করতে পারেনি তারা। টেস্ট শুরুর দুই দিন আগে এমন পরিস্থিতি কোনো দলেরই ভালো লাগার কথা নয়। তবে জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস বলছেন, তিনি নাকি বৃষ্টিটা উপভোগই করেছেন!

আগামী পরশু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্ট। এর আগে আজ জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা উইলিয়ামসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিলেটে তাঁদের প্রস্তুতি নিয়ে। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পা রেখে পরদিনই সিলেটে চলে যায় জিম্বাবুয়ে দল। দুই টেস্টের সিরিজের আগে এমনিতেই কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না দলটা, তার ওপর অনুশীলনে বৃষ্টির ওই বাধা।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ‘গোস্ট কল’ ও ‘গোস্ট হায়ার’ প্রচারণার মাধ্যমে সাইবার হামলা চালাচ্ছে ব্লু–নরফ নামের একদল হ্যাকার। ল্যাজারাস হ্যাকার দলের শাখা হিসেবে পরিচিত হ্যাকারদের দলটি ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ওয়েব৩ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোস্ট কল ও গোস্ট হায়ার প্রচারণা মূলত ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারী ব্লকচেইন ডেভেলপার ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। এ ধরনের সাইবার হামলায় হ্যাকাররা টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে নিজেদের বিনিয়োগকারী পরিচয়ে ভুয়া সাইটে অনলাইন বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য কেউ ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর হ্যাকাররা দূর থেকেই তথ্য চুরির পাশাপাশি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।

ক্যাসপারস্কি জিআরইএটির নিরাপত্তা গবেষক সোজুন রিউ জানান, আক্রমণকারীরা আগের ভুক্তভোগীদের ভিডিও ভুয়া অনলাইন বৈঠকে চালিয়ে দেখায়, যেন ভিডিও কলটি বাস্তব মনে হয়। এভাবেই তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত তথ্য শুধু ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তী সময়ে সাপ্লাই চেইন আক্রমণেও ব্যবহার করা হয়। আক্রমণকারীরা এভাবে বিশ্বাসের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীর সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার চেষ্টা করে।

এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সহযোগীদের তথ্য যাচাই, অপরিচিত বা যাচাইহীন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব সময় নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা, ইডিআর ও এক্সডিআর সক্ষমতার জন্য ক্যাসপারস্কি নেক্সট ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন তাঁরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ