শিশুকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি, মা কিনলেন মোবাইল
Published: 18th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে লাবনী আক্তার লিজা নামে এক নারী চার মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে মোবাইল, পায়ের নূপুর ও নাকের নথ কেনেন শিশুর মা। গত ১০ এপ্রিল মধুপুর পৌরশহরের শেওড়াতলা এলাকার এ ঘটনা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার ভোরে ঘাটাইল উপজেলার ছুনটিয়া গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অভাব-অনটনের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। রবিউল ইসলাম স্ত্রী লাবণীকে নিয়ে পৌর শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। চার মাস আগে তাদের ছেলে সন্তান হয়।
রবিউল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে লাবনী ছেলে তামীমকে নিয়ে তার বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে সে দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমি কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামীমের দাদা অসুস্থ তামীমকে দেখতে চাচ্ছে। ছেলেকে নিয়ে আসতে বললেও ফিরে আসেনি। বৃহস্পতিবার শুনি, লাবনী ৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে দিয়েছে।
শিশু তামীমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামে একজনের সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তামীমকে বিক্রি করেছি। ওই টাকা দিয়া মোবাইল, পায়ের নূপুর ও নাকের নথ কিনেছি।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবীর বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটির মা লাবনীকে নিয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘাটাইলের ছুনোটিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ৪০ হ জ র ট ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’