বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন ৪০ জন প্রার্থী।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সঙ্গে থাকছেন নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া আপিল বোর্ডে থাকবেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। এবারের নির্বাচনে পদসংখ্যা ২১টি, দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ভোটার সংখ্যা ৬৯৯ জন। 

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও আবদুল্লাহ রানা। সহসভাপতি প্রার্থী ছয়জন। তারা হলেন আশরাফ টুলু, মো.

ইকবাল বাবু, এস এম আশরাফুল আলম, এহসানুর রহমান, আজিজুল হাকিম ও শামস সুমন।

সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান ও অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন পাভেল ইসলাম, সুজাত শিমুল, শফিউল আলম বাবু, কবির টুটুল ও রাজিব সালেহীন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুদ রানা মিঠু ও হিমে হাফিজ। অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ।

অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে লড়ছেন এম এ সালাম সুমন, সান্ত্বনা সাদিকা ও শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব।

আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণা মজুমদার, সূচনা সিকদার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুকুল সিরাজ ও প্রিন্স রনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী তিনজন। তারা হলেন আর এ রাহুল, নিলাভ আমান ও মাহাদি হাসান পিয়াল। কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন।

অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। তারা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে চাই বলেই নির্বাচন করছি। আশা করছি, আজ ভোটেও শিল্পীদেরকে আমার পাশে পাব। সভাপতি পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ রানাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিল্পীর স্বার্থে বরাবরই আমি দ্বিধাহীনভাবে লড়াই করেছি। যদি আমার আন্তরিকতায় আপনাদের আস্থা থাকে, তাহলে আগামীতেও সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে চাই। আশা করছি, ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন। 

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহেদ শরীফ খান বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো এক দিনের জন্য। এরপর আমরা একই পরিবারের সদস্য। জয়-পরাজয় যেটাই হোক মেনে নেব। আশা করছি, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। জীবনে প্রথমবার অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন করছি। এটি আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাশেদ মামুন অপু বলেন, অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন স্বতঃস্ফূর্ত হবে। আশা করছি, ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন। জয়লাভ করব, ইনশাআল্লাহ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ