হারতে হারতে জিতে লা লিগার কর্তৃত্ব বার্সার হাতে
Published: 19th, April 2025 GMT
লা লিগায় বড় এক ফাঁড়া গেছে বার্সেলোনার। ঘরের মাঠে সেল্টা ডি ভিগোর বিপক্ষে হারের শঙ্কায় পড়েছিল কাতালানরা। সেখান থেকে সমতায় সন্তুষ্ট থাকতে হবে এমনই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ বাঁশির আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৪-৩ গোলের জয় তুলে নিয়েছে হানসি ফ্লিকের দল। এই লা লিগার কর্তৃত্ব শক্ত হাতেই ধরে রেখেছেন রাফিনিয়া-ইয়ামালরা ।
শনিবার ঘরের মাঠে ৩২তম রাউন্ডের লিগ ম্যাচে তরুণ লামিনে ইয়ামালকে বিশ্রাম দিয়ে খেলতে নামে বার্সা। তার বদলি নামা ফেরান তোরেস ১২ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। কিন্তু পরেই ওই লিড হারায় কাতালানরা। ১৫ মিনিটে ১-১ গোলের সমতা করেন সেল্টার ৩২ বছর বয়সী স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বোর্জা ইগনিসিয়াস। বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি শিশুতোষ ভুল করে বসেন।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনি পরপর দুই গোল করে সেল্টাকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন। ইগনিসিয়াস ৫২ ও ৬২ মিনিটে বার্সার জালে বল পাঠিয়ে দেন। যদিও ৬৪ মিনিটে রাফিনিয়ার বাড়ানো বলে গোল করে ৩-২ গোলের ব্যবধানে ম্যাচে দলকে ম্যাচে ফেরান দানি অলমো। পরেই রাফিনিয়া গোল করে ব্যবধান ৩-৩ করে ফেলেন।
ম্যাচ ওই ব্যবধানেই শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে বক্সে দানি অলমোকে ফাউল করে পেনাল্টির বাঁশি হজম করে লিগ টেবিলে সাতে থাকা সেল্টা ভিগো। রাফিনিয়া শট নিয়ে গোল করতে ভুল করেননি। এই জয়ে লা লিগা একপ্রকার বার্সার হাতে উঠে গেল।
বার্সা ৩২ লিগ রাউন্ড শেষে ৭৩ পয়েন্ট তুলেছে। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়াল মাদ্রিদ ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুইয়ে আছে। সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচে বার্সা হারলে শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে যেত। সমতায় শেষ হলে ১১ এপ্রিলের এল ক্লাসিকো হতে পারত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’