লিওনেল মেসির উপস্থিতি মানেই মাঠভর্তি দর্শক। সে কারণে ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় কলম্বাস ক্রুর ঘরের মাঠ বদলে গেল। এমএলএসের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলো বড় ভেন্যুতে, ক্লিভল্যান্ড ব্রাউনসের হান্টিংটন ব্যাংক স্টেডিয়ামে। যেখানে ইতিহাস গড়ে ম্যাচটি উপভোগ করেছেন ৬০ হাজারের বেশি দর্শক।

রোববার কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে ১–০ গোলের জয়ে মাঠ ছেড়েছে ইন্টার মায়ামি। যদিও গোল পাননি মেসি, তবে তার উপস্থিতি মানেই আলোচনার শীর্ষে। আর এই ম্যাচেও তার দারুণ কিছু মুভমেন্ট মাতিয়ে রেখেছিল ভেন্যু। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে প্রথমার্ধেই। ৩০ মিনিটে মার্সেলো ভেইগান্টের বাড়ানো ক্রসে হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তরুণ মার্কিন মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রেমাচি। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলেই জয় নিশ্চিত করে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন দলটি।

কলম্বাস ক্রুর ঘরের মাঠ লোয়ার ডট কম ফিল্ডের ধারণক্ষমতা মাত্র ২০ হাজার। কিন্তু লিওনেল মেসিকে দেখতে উৎসুক দর্শকের সংখ্যা তো অনেক বেশি! ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হলো কলম্বাস শহরের ১৪৫ কিলোমিটার উত্তরে হান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ড-এ। ন্যাশনাল ফুটবল লিগের দল ক্লিভল্যান্ড ব্রাউন্সের এই স্টেডিয়ামও কলম্বাস ক্রুর সত্বাধিকারী জিমি ও ডি হ্যাসল্যামের মালিকানাধীন।

প্রায় সাড়ে ৬৭ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম অবশ্য পুরোপুরি ভরে উঠল না। তবে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ঠিক হলো। এ ম্যাচে ৬০,৬১৪ দর্শক উপস্থিত ছিলেন, যা এনএফএলের বাইরে এই মাঠের সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যার রেকর্ড। যাকে দেখার জন্য এত উন্মাদনা, সেই মেসি অবশ্য ততটা জ্বলে উঠতে পারেননি।

এই জয়ের ফলে চলতি এমএলএস মৌসুমে এখনও অপরাজিত রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে ইস্টার্ন কনফারেন্সে তিন নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়েই চতুর্থ স্থানে আছে কলম্বাস ক্রু। শীর্ষে আছে শার্লট ও চিনচিনাতি। দু’দলেরই পয়েন্ট ১৯।

আগামী ২৫ এপ্রিল কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম কলম ব স ক র র উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে

ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।

ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু

না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।

ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই

হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।

৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?

দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।

দলগুলো কারা

এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।

আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।

দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।

ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।

ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।

আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।

ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে